লাভজনক কিছু ব্যবসা সম্পর্কে জেনে নিন

বর্তমানে লাভজনক কিছু ব্যবসা সম্পর্কে জানুনঃ

অতীত থেকে মানুষ ব্যবসা ও বাণিজ্যকে জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্যবহার করেছেন।নিজের সাফল্যের গল্প ও স্বাধীনভাবে বাঁচতে হলে, কিছু একটা অবশ্যই কর্মজীবনে করতে হবে।এজন্য ব্যবসা হচ্ছে অবিকল্প মাধ্যম।ব্রিটিশ শাসনআমল কিংবা পাকিস্তানি শাসনকার্য তখনো আমাদের দেশে প্রচলিত ছিল বাণিজ্য।তবু আজ বাংলাদেশে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পড়াশুনা শেষ করে বেকারত্ব নিয়ে বসে আছে।না পাচ্ছে চাকরি, না করছি কোনো আয়।অনেকটা পরিবারে বোঝাস্বরূপ।সমাজের লোকজনও ভাবছে সে কিছু করতে পারে না।অথচ চাকরির পিছনে ঘোড়ার মতো দৌড়ে তারা আজ ক্লান্ত।তাই এই পোস্ট ব্যবসার মাধ্যমে কিভাবে বেকারত্বের সমাধান করবেন সেটা বলার চেষ্টা রাখছি।সামান্য কিছু পুঁজিতে কিভাবে বেশি আয় করে লাভবান হবেন? অনেকের মনে এমন প্রশ্ন।দয়া করে সবাই ধৈর্য ধরে পড়ুন।কেউ কেউ অনেক জায়গায় পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিল, কিন্তু সঠিক আইডিয়া ও দক্ষতা না থাকায় লস খেয়েছে।লাভ তো দূরে থাক, আসল টাকাই তুলতে পারে নি।বাণিজ্য বা ব্যবসা সেটা যাই হোক যুগের সঙ্গে তার ধরনেরও পরিবর্তন ঘটে।তাই আপনাকে যথেষ্ট আইডিয়া নিয়ে ও বুঝে শুনে এই দিকে ঝুকতে হবে।প্রথম পর্যায়ে আপনি ছোট ছোট কাজ দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।এতে অল্প কিছু লাভ হতে হতে এরপরে বড় পুঁজিতে ব্যবসা করতে সুবিধা পাবেন।আর ডিজিটাল প্রজন্মে এসে, আপনারা এখন অনলাইন ও অফলাইন দুইভাবেই ব্যবসা করতে পারবেন।

লাভজনক কিছু ব্যবসা সম্পর্কে জেনে নিন

ব্যবসা কি ও কিভাবে করে? ব্যবসা কাকে বলে?

 ব্লগিং এর ব্যবসায় কিভাবে লাভবান হবেন?

এগুলো হচ্ছে অনলাইনের বাণিজ্য।যার মধ্যে একটি হচ্ছে ডোমেইন ও হোস্টিং কোম্পানির ব্যবসা।

ফার্মেসির দোকানে কিভাবে ব্যবসা করবেন? শাক সবজির কেনাবেচা, ফার্মিং বাণিজ্য প্রভৃতি।

এরকম আরো কিছু ব্যবসা রয়েছে যেগুলো আপনি অফলাইনেই করতে পারবেন।

কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অথবা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে আমনত দিয়ে লাভবান হওয়ার জন্য পণ্য সামগ্রী কেনা ও বিক্রয় করতে ব্যস্ত সময় কাটানোই হলো ব্যবসা।এর মধ্যেও আবার প্রকার ও ভাগ রয়েছে।সেগুলো পরবর্তীতে শেয়ার করবো।নিজস্ব উদ্দেশ্যে বা সমিতি আকারে একাধিক লোকজনের সমন্বয়েও শুরু করতে পারেন।আপনি যদি অল্প সময়ে ধৈর্য্য নিয়ে সফল হতে চান, তাহলে বাণিজ্য করার বিকল্প পথ আর পাবেন না।এটি সঠিক উপায়ে ও মানুষকে প্রতারিত না করে ভালোভাবে সৎ ভাবে করলে তা আপনার জন্য হালাল এবং সওয়াবের কাজ।নেক ইমানদার হতে হলে এখানে অবশ্যই সত্যকথা বলতে হবে এবং বিনিময় ও আদান প্রদানের দিক খেয়াল রাখতে হবে।

হোস্টিং এর ব্যবসা করুনঃ

আপনার ছোটখাটো একটা সাইট আছে এবং আপনি অনলাইনের মাধ্যমে কিছু করতে চান।এক্ষেত্রে ডোমেইন ও হোস্ট সেল করার মতো কাজটি করে লাভ করতে পারেন।একটি ওয়েবসাইট রান করতে অবশ্যই এই দুটি জিনিসের প্রয়োজন আমাদের।কিন্তু বাংলাদেশের অনেকের কাছে ক্রেডিট কার্ড বা অনলাইন ভিসা কার্ড না থাকায়।তারা ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি থেকে ডোমেইন বা হোস্ট ক্রয় করতে পারেনা।এজন্য দেশীয় হোস্টিং কোম্পানি থেকে একটু বেশি মূল্য ক্রয় করে থাকেন।অল্প বাজেটে রিসেলার নিয়ে কোম্পানি আরম্ভ করতে পারবেন।পরে যদি গ্রাহক বেশি পান তাহলে ভিপিএস সার্ভার কিনেও করতে পারবেন।তবে এই ব্যবসায় কিছু কাজ ভালোভাবে করতে পারলে সাফাল্য দ্রুত হবেন।নাম্বার এক, হোস্ট বিক্রয়ের করতে কাষ্টমারদের একটু ছাড় দিতে হবে কোম্পানির প্রচারে।এরপর লাইভ চ্যাটের সিস্টেম রাখতেও পারেন।আর সোশ্যাল মিডিয়া যেমনঃ ফেসবুকে একটা পেইজ খুলে বিভিন্ন অফার শেয়ার করতে পারেন।এছাড়া বুষ্টের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনার হোস্ট কোম্পানির প্রচারনা চালাতে পারেন।

লাভজনক কিছু ব্যবসা সম্পর্কে জেনে নিন

ব্লগার হয়ে ইনকাম করবেনঃ

ব্লগিং করা অনলাইনে কম টাকা খরচ করে ধৈর্য্যসহকারে একটু বেশি সময় লাগলেও বেশি ইনকাম করা যাবে।তবে এজন্য শুরুতে গুগলের নীতিমালা পড়ে নিবেন এবং সেগুলো মেনে কাজ করতে হবে।প্রথমে একটা ওয়েবপেইজ তৈরি করতে হবে।আপনি সেটা ফ্রি ব্লগস্পট কিংবা ওয়ার্ডপ্রেস অথবা পিএচপি স্ক্রিপ্ট দিয়েও রান করতে পারেন।এরপর ইউনিক আর্টিকেল বা কন্টেন্ট দিবেন।এজন্য সাইটের ডিজাইন করে নিতে পারেন।অন্যন্য ডিজাইনের সাইট হলে বেশি ভালো।তারপর অফপেইজ এবং অন পেইজ বা টেকন্যাল এসইও করতে হবে।সব কিছু ঠিক থাকলে এসইও ফ্রেন্ডলি কিছু হাই সিপিসির পোষ্ট থাকলে গুগল এডসেন্সে এপ্লাই করবেন।তারা অনুমোদন প্রদান করলেই আপনার ব্লগ সাইট হতে আয় হবে।তবে ওয়েবসাইটে নিয়মিত অর্গানিক ট্রাফিক বা ভিজিটর আনবেন।আর আপনার সাইট র্যাংক করতে পারলে এডসেন্স এর পাশাপাশি ইজুইক ব্যবহার করতে পারেন।

রেস্টুরেন্টের ব্যবসাঃ

খাবার তৈরি, নানা রকম রেসিপি তৈরি করা প্রভৃতি সম্পর্কে ভালো আইডিয়া থাকলে ফাস্ট ফুডের কিংবা রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা করতে পারেন।শহরের জীবনে অনেকেই নিজ বাড়িতে না খেয়ে বাইরের খাবারই সুস্বাদু মনে করে।তাই অনেকে এই ফাস্ট ফুডের দোকান দেওয়ার কাজটিকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে।কিন্তু এসকল রেস্টুরেন্টে প্রথম অবস্থায় একটু ইনভেস্ট তুলনামূলক বেশি করা প্রয়োজন।কারণ নিজস্ব দোকান না থাকলে, যেখানে মানুষের আনাগোনা বেশি যেমনঃ অফিস, আদালত, স্কুল কলেজের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে কিংবা ভ্রমণের কাছাকাছি স্থানে দোকান ভাড়া করতে হয়ে মাসিক বা বাৎসরিকভাবে টাকা দিয়ে।এবার রেস্টুরেন্টকে সাজিয়ে এর সৌন্দর্য বাড়াতে হবে।একজন ভালো ভাবুর্চিও রাখতে হবে।এরপর খাবার টেবিলে পরিবেশন করার মতো কিছু লোক বেতন দেওয়া বিনিময়ে নিন।পোস্টার বা বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে আপনার ফাস্ট ফুড দোকান কিংবা রেস্টুরেন্টের প্রচারনা বৃদ্ধি করুন।যাতে করে কাস্টমারা জানতে এর খাবার মান ভালো।

মেডিসিন বা ফার্মেসির ব্যবসা করতে পারেনঃ

ঔষুধ অসুস্থ মানুষের প্রায় প্রতিদিনে প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।আর কম বেশি সবার পরিবারেই একজন না একজন রোগী থাকে।যেমনঃ দাদা বা চাচা বৃদ্ধ বলে তার গ্যাসের সমস্যা বা ডায়াবেটিস থাকতে পারে।এজন্য তাকে প্রত্যেক দিন নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ গ্রহণ করতে হয়।আপনার ইনভেস্টের পরিমাণ ভালো হলে এই পথে পা দিতেই পারেন।কারণ মেডিসিনের পণ্য সামগ্রী সর্বোচ্চ বিক্রিত পণ্যের তালিকায় অন্যতম একটি।আর আপনি চাইলে ছয় মাস অথবা তিন মাসের সরকারি ট্রেনিং শেষে দুএকটা রোগী দেখে ওষুধ দিতে পারবেন।ডাক্তারের চেম্বার রয়েছে বা হাসপাতালের নিকট ফার্মেসি দিতে পারেন।আবার যে ট্যাবলেটের বেশি চাহিদা সেগুলোর পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।এক্ষেত্রে দোকানের অনুমতি চেয়ে নিবেন এবং একটা লাইসেন্স করে নিবেন স্থানীয় প্রশাসন থেকে।

কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রঃ

ডিজিটাল বাংলাদেশে অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারে।এটা আলাদা করে কোনো সেন্টারে গিয়ে শিখতে হয় না।তবে খুব দক্ষভাবে কম লোকই এদেশে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ চালাতে পারে।তাই তো শহরে কিংবা গ্রামাঞ্চলে গড়ে উঠে এর প্রশিক্ষণ সেন্টার।যেখানে যেকোনো বয়সী লোক শিখতে পারেন ল্যাপটপের খুটিনাটি বিষয়গুলো।ওয়েব সাইট রান, ডিজাইন, এসইও, থীম তৈরি, বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা, গ্রাফিক্স ডিজাইন করা প্রভৃতি শিখার জন্য ভিড় জমাতে পারে আপনার আইটি প্রশিক্ষণ কোম্পানিতে।এজন্য প্রচার করতে হবে আর সেই সব কোর্স নিয়ে আগ্রহীদের মাঝে ভালো দিকগুলো তুলে ধরতে হবে।অনেক শিক্ষার্থী বছরের শেষ সময়গুলো অবকাশ বা ছুটি কাটায়।তখন এরকম প্রশিক্ষণের প্রতি তারা খুব আগ্রহ দেখায়।যে স্থানে লোকজন সবসময় থাকে বা রাস্তাঘাটে তাদের চলাচল বেশি, বিদ্যুতের সুব্যবস্থা আছে, নেটওয়ার্ক বেশ চমৎকার।এমন জায়গা বেছে নিন আপনার আইটি প্রতিষ্ঠানের জন্যে।মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থী দিয়ে চালু করা আপনার সেন্টারে একসময় কয়েক শত থেকে হাজারে পৌঁছে যেতে পারে।

লাভজনক কিছু ব্যবসা সম্পর্কে জেনে নিন

বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা প্রোগ্রামের আয়োজনঃ

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বা ফাংশনের আয়োজন করা বা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের সমস্ত দায়িত্ব নেওয়া।আমাদের দেশে কিংবা বিদেশে দেখলে পাবো যে, অনেকেরই বিয়ে, জন্মদিন পালন করা এরকম বিশেষ উৎযাপনে তারা একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিয়ে থাকেন।এটি মূলত ঐ অনুষ্ঠানের জন্য আগাম বুকিং দিয়ে একটা প্যাকেজ কিনে নেয়।আপনিও চাইলে এমন একটা ইভেন্ট ম্যানজমেন্ট কোম্পানি কোনো একটি এই রিলেডেট নাম দিয়ে খুলতে পারেন।এজন্য আপনাকে একটা দল গঠিত করতে হবে।যেখানে কয়েকজন সদস্য থাকবে, যারা আপনার নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।তাদের স্বভাব, চরিত্র ভালো থাকতে হবে এবং নম্র, ভদ্র ও সৎ, পরিশ্রমী হয় যেন।তাহলে আপনার টিম হয়ে যাবে।এবার বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্লায়েন্ট খুজে নিবেন।বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে কাজের প্রতি অনেক যুবকরা আকৃষ্ট হয়েছে।তাই ভালো ইনভেস্ট করতে পারলে কয়েক মাসেই মুনাফাসহ লাভ পাবেন।আজ এখানেই আর্টিকেল লেখা শেষ করা।

ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়