ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়

Table of Contents

ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায়

বর্তমান সময়ে টাকা আয় করার একটি বেষ্ট প্লাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। আপনিও হয়ত বিষয়টি সম্পর্কে অনেক আগে থেকে অবগত আছেন। কিন্তু হয়ত এটা বুঝতে পারছেন না যে, ইউটিউব থেকে কীভাবে আয় করা যায়। ইউটিউব থেকে কী শুধু ভিডিও মনেটাইজ করে আয় করা যায়? ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা যায়। ইউটিউব থেকে কীভাবে হাতে টাকা আসে। কত ভাবে ইউটিউবিং করে আয় করা যায়। ইউটিউবিং শুরু করতে কি কি লাগবে ইত্যাদি। ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায় জেনে নিনঃ

এই সব প্রশ্ন যদি আপনার মাথায় ঘুরপাক খায় তাহলে আপনাকে এই পোস্টে স্বাগতম। আপনি যদি এই পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ইউটিউব সম্পর্কে সম্পূর্ণ একটা ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ্।

ইউটিউব কী?

ইউটিউব হচ্ছে একটি মার্কিন ভিডিও শেয়ারিং ও সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। ইউটিউব বর্তমানে গুগল এর মালিকানাধীন। এটি ২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি তৈরি করেন স্টিভ চেন, চ্যাড হার্লি এবং জাভেদ করিম।

ইউটিউব থেকে কীভাবে আয় করা যায়?

মনিটাইজঃ

এক্ষেত্রে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি গুগল এডসেন্স দ্বারা মনিটাইজ করে নিতে হবে। এজন্য ১ হাজার সাবস্ক্রাইব ও ৪ কে ঘণ্টা ওয়াচ টাইম লাগবে। যেগুলো লং ভিডিও সেগুলোর ওয়াচ টাইম গণনা করা হয়। অর্থাৎ ৪ হাজার ওয়াচ টাইমে আপনার শর্ট ভিডিও আয়ত্তাধীন হবে না। তবে বর্তমান সময়ে ৫০০ সাব হলেই চলবে প্রাথমিক মনিটাইজ এর জন্য। 

একজন ব্যাক্তি চাইলে ইউটিউব থেকে অনেক ভাবে টাকা আয় করতে পারেন। ইউটিউব থেকে আয় করার সহজ উপায় অনেক থাকলেও যেগুলো নির্ভরযোগ্য সেগুলোর সংক্ষিপ্ত একটা তালিকা দেওয়া হল।

  • ভিডিও শেয়ার করে আয়

  • অ্যাফিলিয়েটিং করে আয়

  • সিপিএ মার্কেটিং থেকে আয়

  • বিজনেস করে আয়

  • প্রমোটিং করে আয়

  • অ্যাডভার্টাইজিং করে আয়

এছাড়াও আপনি চাইলে কিছু আল্টারনেটিভ উপায়েও টাকা আয় করতে পারেন। যেমন : ভিডিও এডিটিং করে আয়, গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়, ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে আয়, ভিডিও বুষ্টিং করে আয়, সাইট প্রমোটিং করে আয়, এসইও সার্ভিস দিয়ে আয় ইত্যাদি।

ভিডিও শেয়ার করে ইনকাম করা যায়ঃ-

ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার একটা জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে ভিডিও শেয়ারিং করে আয়। আপনি যদি কোন একটা বিষয়ে দক্ষ হোন তাহলে সেটাকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউবের জন্য ভিডিও মেক করে আয় করতে পারেন। যেমন আপনি যদি ভালো রান্না করতে পারেন তাহলে আপনি একটি রান্না করার ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে আপনার অসাধারণ রান্না রেসিপির ভিডিও মানুষের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে একটা স্মার্ট আর্নিং জেনারেট করতে পারেন।

আপনি যদি কোন বিষয়ে ভালো বুঝেন বা ভালো পড়াতে পারেন তাহলে টিউশনি না করেও ইউটিউবে একটা শিক্ষামূলক চ্যানেল খুলে সেখান থেকেও টাকা আয় করতে পারেন। এভাবে আপনি আপনার ভিতরে থাকা প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে একটা প্যাসিভ আয় জেনারেট করতে পারেন খুব সহজেই। তবে এক্ষেত্রে আপনার আর্নিং এর প্রধান সোর্স হবে গুগল অ্যাডসেন্স। যেখান থেকে মাসে হাজার হাজার ডলার ও ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন করুন

আপনি যদি একজন ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটরস হোন, তাহলে আপনি ভিডিও আপলোড করে আয় করার পাশাপাশি একজন অ্যাফিলিয়েটর হিসেবেও অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারেন। যেমন বর্তমানে ওয়ার্ল্ডের অনেক বড়-বড় কোম্পানি সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সারদের অ্যাফিলিয়েট পার্টনারশিপ দিয়ে থাকেন। আপনি চাইলে ইউটিউবের মাধ্যমে তাদের সাথেও কাজ করে মাসে লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। মনে করুন আপনার একটা টেকনোলজি রিলেটেড ইউটিউব চ্যানেল আছে, তাহলে আপনি সেই চ্যানেলে বিভিন্ন কোম্পানির টেক রিলেটেড অবজেক্ট গুলো রিভিও করে সেখান থেকে আপনার অ্যাফিলিয়েটিং লিংক প্রমোট করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার উপায়

সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করা সম্ভবঃ-

আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটের মত আপনার সিপিএ লিংক গুলোকেও ইউটিউব ভিডিওতে প্রমোট করে আয় করতে পারেন। ধরুন আপনার একটি আর্নিং রিলেটেড বা বুক রিভিউ একটা ওয়েবসাইট আছে। তাহলে আপনি চাইলে ওয়ার্ল্ডের বড়-বড় কিছু সিপিএ মার্কেটপ্লেসে যুক্ত হয়ে সেখান থেকে একটা আয় করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে সিপিএ মার্কেটিং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে একটু সহজ। কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনাকে যে কোন প্রোডাক্ট প্রমোট করার পাশাপাশি সেই প্রডাক্টটি সেলও করতে হবে। অর্থাৎ যে পর্যন্ত না আপনি কোন প্রডাক্ট সেল করতে পারছেন সেই পর্যন্ত কোন টাকা আয় করতে পারছেন না। অন্যদিকে সিপিএ মার্কেটিং করে আপনি প্রডাক্ট সেল করা ছাড়াও আয় করতে পারেন। ধরুন আপনি একটা সিপিএ লিংক প্রমোট করলেন তাহলে এখন কোন ভিউয়ারস যদি আপনার ভিডিও দেখে, আপনার দেওয়া সিপিএ লিংকে গিয়ে কোন প্রডাক্ট ক্রয় করা ছাড়া যেকোন ক্ষুদ্র কাজ করে যেমন, কোন সাইটে একাউন্ট করা, কোন অ্যাপ বা বুক ডাউনলোড করা ইত্যাদি। তাহলে আপনি সেখান থেকে একটা এমাউন্ট জেনারেট করতে পারেন।

সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করার উপায়

বিজনেস করে ইনকাম করা যাবেঃ-

আপনার যদি একটা ছোট-খাটো ব্যবসা থাকে তাহলে সেই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে একটা ইউটিউব চ্যানেল করে সেখানে আপনার কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্ট মানু্ষদের কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে আপনার ব্যবসা বাড়াতে পারেন এবং স্বল্প সময়ে লাভবান হতে পারেন।

প্রমোটিং করে আয়-

আপনার যদি একটা ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে সেখানে বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাপ, ওয়েবসাইট, পণ্য ইত্যাদি প্রমোট করে টাকা আয় করতে পারেন।

অ্যাডভার্টাইজ করে-

আপনি চাইলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন কোম্পানির শর্টভিডিও অ্যাডস, ব্যানার অ্যাডস, বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। বর্তমানে এটা খুব জনপ্রিয়। আপনি চাইলে খুব সহজেই করতে পারবেন।

মোট কথা আপনার যদি একটি ভালো ইউটিউব চ্যানেল থাকে, তাহলে আপনি সেখান থেকে অনেক ভাবে টাকা আয় করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি গুগল অ্যাডসেন্স ছাড়াও ইউটিউব থেকে আরও অনেক উপায়ে টাকা আয় করতে পারবেন।