রেইনকোট গদ্যের সৃজনশীল প্রশ্ন

রেইনকোট গদ্যের সৃজনশীল প্রশ্ন

১। কাল থেকে বৃষ্টি খুব হচ্ছে। আজ বাইজু এসেছিল। ওর দিকে চাইতে পারি না। বেচারী সাইদ। এত ভালো লোকটি ছিল। কি পশুর দল দানব দল অসুর দল দেশে এসেছে। ঘর, বুক খালি করে দিল। সব ঘরে হাহাকার আতঙ্ক। রাজরাণী পথের ভিখারী হয়েছে।

ক. নুরুল হুদার স্ত্রীর নাম কী?

খ. কেন নূরুল হুদা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে?

গ. উদ্দীপকে ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে?- ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের “পশুর দল, দানব দল, অসুর দল এবং ‘রেইনকোট’ গল্পে বর্ণিত পাকিস্তানি হানাদারদের স্বভাব-বৈশিষ্ট্য একই।” মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।

২। ঐ যে মুক্তিফৌজের গেরিলা তৎপরতার কথা বলল- ঢাকার ছ’ জায়গায় গ্রেনেড ফেটেছে, আমরা তো সাত-আটদিন আগে এ রকম বোমা ফাটার কথা শুনেছিলাম, কিন্তু ঠিক বিশ্বাস করিনি। ব্যাপারটা তাহলে সত্যি? আমার সারা শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠল। ব্যাপারটা তাহলে সত্যি! সত্যি সত্যি তাহলে ঢাকার আনাচে-কানাচে মুক্তিফৌজের গেরিলারা প্রতিঘাতের ছোট ছোট স্ফুলিঙ্গ জ্বালাতে শুরু করেছে? এতদিন জানতাম বর্ডারঘেঁষা অঞ্চলগুলোতেই গেরিলা তৎপরতা। এখন তাহলে খোদ ঢাকাতেও?

ক. মিসক্রিয়েন্টরা কী বেশে কলেজে ঢুকেছিল?

খ. “প্রিন্সিপ্যালের বাড়ির গেটে বোমা ফেলা মানে মিলিটারি ক্যাম্প অ্যাটাক করা”- এ কথা কেন বলা হয়েছে?

গ. উদ্দীপকের গ্রেনেড ফাটানোর দিকটিতে ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন দিকটির ইঙ্গিত পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিঘাতের ছোট ছোট স্ফুলিঙ্গে প্রকৃত অর্থেই পাকিস্তানি বর্বর শাসনের ভিত কেঁপে উঠত।”- মন্তব্যটি যাচাই কর।

৩। তারামন বিবি ১১ নং সেক্টরের একজন নারী মুক্তিযেদ্ধা। আজিজ মাস্টারের ক্যাম্পে তিনি মুক্তিবাহিনীর জন্য রান্নার দায়িত্ব পালন করেন। মুহিব হালদারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি পুরুষের পাশাপাশি সরাসরি যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন।

ক. ‘রেইনকোট’ গল্পটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত?

খ. ‘আব্বু তাহলে মুক্তিবাহিনী’- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের তারামন বিবির সঙ্গে ‘রেইনকোট’ গল্পের মিন্টুর তুলনা কর।

ঘ. ‘নারী ও পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে’- রেইনকোট’ ও উদ্দীপকের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

৪। বর্গি এল খাজনা নিতে

মারল মানুষ কত।

পুড়ল শহর পুড়ল শ্যামল

গ্রাম যে শত শত।

হানাদারের সঙ্গে জোরে

লড়ে মুক্তি সেনা

তাদের কথা দেশের মানুষ

কখনো ভুলবে না। [তথ্যসূত্র: রৌদ্র লেখে জয়- শামসুর রাহমান]

ক. আসমার ভাইয়ের নাম কী?

খ. রাজাকার বলতে কী বোঝ?

গ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় অংশ ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের বর্গি আর ‘রেইনকোট’ গল্পের মিলিটারি একই প্রেতাত্মার অভিন্ন রূপ।”- বিশ্লেষণ কর।

৫। কীসে কী হইল, পশ্চিম হতে নরঘাতকেরা আসি সারা গাঁও ভরি আগুন জ্বালায়ে হাসিল অট্টহাসি মার কোল হতে শিশুরে কাড়িয়া কাটি সে খান খান পিতার সামনে মেয়েরে কাটিয়া করিল রক্তস্নান।

ক. প্রিন্সিপ্যাল কাকে তোয়াজ করতেন?

খ. রেইনকোটের ওপর চাবুকের বাড়ি নুরুল হুদার কাছে কেমন মনে হয়েছিল?

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘রেইনকোট’ গল্পটি কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপক ‘রেইনকোট’ গল্পটির আংশিক প্রতিনিধিত্ব করে”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

৬। কলিমদ্দি দফাদার বিশ বাইশ বছর বয়সে ঢুকেছিল ইউনিয়ন বোর্ডের দফাদারিতে। দফাদারের বোর্ড অফিস শীতলক্ষ্যার তীরে বাজারে। ১৯৭১ সাল। সরকারি লোক হিসেবে কলিমদ্দির উপর খান সেনারা হুকুম জারি করে বোর্ড অফিস খোলা রাখার এবং এলাকার সরকারি লোক হিসেবে খান সেনারা ওকেই তাদের অভিযানের সঙ্গী করে নেয়। তারও এক কথা যখনকার সরকার তখনকার হুকুম পালন করি। কিন্তু আমরা প্রত্যক্ষ করি, খান সেনারা মুক্তি নিধনের জন্য নদীর অন্য পাড়ে গ্রামে যাওয়ার জন্য যখন নড়বড়ে কাঠের পুলে ওঠে তখন কলিমদ্দি দফাদার কৌশলে তাদের অনেককে নদীতে ফেলে মারে এবং খান সেনারা কেউ অক্ষত অবস্থায় ছাউনিতে ফেরে না।

ক. ‘ক্লাক-ডাউনের রাত’ বলতে কোন রাতকে বুঝানো হয়েছে?

খ. ‘কিন্তু তার ওম তার শরীরে এখনও লেগেই রয়েছে’- একথা কেন বলা হয়েছে?

গ. উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্পের বৈসাদৃশ্য কী? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. কলিমদ্দি দফাদার ও নুরুল হুদার ভূমিকা বিশ্লেষণে কি উভয়কে মুক্তিযোদ্ধা বলা যায়? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৭। ১৯৭১ সাল। চারদিকে শত্রুপক্ষীয় বর্বরতার পাশবিক উল্লাস। দেশের এই দুর্যোগ মুহূর্তে রায়হানের পরিবারের সকলেই দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত। কিন্তু রায়হান সে ব্যাপারে ভীত। মুক্তির পক্ষে সে কথা বলে না। সবসময় পাশ কাটিয়ে চলার চেষ্টা করে। তার এই স্বভাবে পরিবারের সদস্যরা অতিষ্ঠ। কিন্তু তাতেও কোনো পরিবর্তন নেই রায়হানের।

ক. ‘রেইনকোট’ গল্পের কথক কে?

খ. ‘রেইনকোট’ গল্পে ‘আমাদের জেনারেল মনসুন’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটি ‘ রেইনকোট’ গল্পের সমগ্র ভাব মূর্ত করে তোলে না। বিশ্লেষণ কর।

ঘ. উদ্দীপকের রায়হান ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছে?

৮। ঢাকা শহর থেকে পঞ্চাশ মাইল পূর্ববর্তী গাবতলী গ্রাম। কিন্তু যাতায়াতের সুবিধা নেই। তাই সব খবরই দু-দিন বাদ এসে পৌঁছায়। এবার কিন্তু তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। যারা জোয়ান তারা হেঁটে বাড়ি পৌঁছেছে। তাই খবর ছড়িয়ে পড়তে দেরি হয়নি। পঁচিশে মার্চের রাত্রে পাঞ্জাবি মিলিটারি ঝাঁপিয়ে পড়ে। জীবন্ত যাকে পাচ্ছে তাকেই হত্যা করছে। পরদিন সাবুর সামনে গোটা শহরটা যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ল। তাদের বাড়ির পাশ দিয়ে গেছে জেলা বোর্ডের সড়ক। সেই পথে মানুষ আসতে লাগল। একজন দুজন নয়, হাজার হাজার।

ক. মগবাজারের ফ্লাট থেকে মিন্টু কবে চলে যায়?

গ. উদ্দীপকে ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন চিত্রটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার-নিপীড়নে বাঙালিদের জনজীবন হয়ে পড়েছিল বিপর্যন্ত। উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্পের আলোকে আলোচনা কর।’রাশিয়ার ছিল জেনারেল উইনটার, আমাদের জেনারেল মনসুন’- কথাটিববলার কারণ ব্যাখ্যা কর।

৯। অতিরিক্ত বর্ষা আর বন্যা নিয়ে সামরিক জান্তা খুব উদ্বিগ্ন, বিব্রত আর আতঙ্কিত। শুকনো এলাকার পাকিস্তানি সৈন্যরা এই রকম বৃষ্টি বন্যা কাদার মধ্যে একেবারে লেজেগোবরে হয়ে পড়ছে। কিন্তু মুক্তিবাহিনীর জন্য সুবিধে।

ক. ‘বর্ষাকালেই তো জুৎ’- কথাটি কে বলেছিল?

খ. ‘রাশিয়ার ছিল জেনারেল উইনটার, আমাদের জেনারেল মনসুন।’ কথাটিতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বর্ষার প্রভাব সম্পর্কে উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্পে যে বর্ণনা করা হয়েছে তা তুলনা কর।

ঘ ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বর্ষাকালের প্রভাব ছিল তাৎপর্যপূর্ণ’- উদ্দীপক ও গল্পের আলোকে উক্তিটির যথার্থতা বিচার কর।

১০। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করতে নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছিল।তারেক মাসুদ ‘মুক্তির গান’ প্রামাণ্যচিত্রে দেখিয়েছেন শিল্পীরা মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ক্যাম্পে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছেন। যুদ্ধ কেবল মুক্তিযোদ্ধারা করেননি।এ যুদ্ধে শিল্পী, কলাকুশলী ও শব্দসৈনিকের ভূমিকাও ছিল।

ক. পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কী নামে ডাকত?

খ. নুরুল হুদা রাস্তার দোকানদার ছেলেটাকে বাচাল টাইপের বলেছিল কেন?

গ. মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী সমাজের ভূমিকার সঙ্গে গল্পের রেইনকোটের কী সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘রেইনকোট’ গল্পের সামগ্রিকতা ধারণ করে কি? মূল্যায়ন করো?

১১। রুমী চাপা আনন্দ আর উত্তেজনায় ফিসফিস করে বলল, “আম্মা আমরা একটা অ্যাকশন করে এলাম, এইমাত্র সাত-আটটা খান সেনা মেরে এসেছি।”- আম্মার মুখ হাঁ হয়ে গেল, বলিস কী রে? আনন্দ ডগমগ গলায় কাজী বলল, হ্যাঁ চাচি, ১৮ নম্বর রোডে… মিলিটারির জিপ পিছু নিয়েছিল, তাই দেখে বুমী গাড়ির পেছনের কাচ থেকে চালায়… জিপ উল্টে সবগুলো মরেছে।

ক. ‘রেইনকোট’ গল্পটি লেখকের কোন গল্পগ্রন্থে সংকলিত হয়?

খ. রাশিয়ায় ছিল জেনারেল উইনটার, আমাদের জেনারেল মনসুন।’- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের রুমী ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকটি ‘রেইনকোট’ গল্পের কাহিনির একটি বিশেষ দিকের প্রতিকায়মাত্র- প্রকৃতপক্ষে ‘রেইনকোট’ গল্পের প্রেক্ষাপট আরও বিস্তৃত” মূল্যায়ন কর।

রেইনকোট গদ্যের সৃজনশীল প্রশ্ন

রেনকোট গদ্যের অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন- ‘এগুলো হলো পাকিস্তানের শরীরের কাঁটা’- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর: শহিদ মিনার সম্পর্কে পাকিস্তানি মিলিটারিদের ধারণা দিতে গিয়ে প্রিন্সিপাল সাহেব প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।প্রিন্সিপাল ডক্টর আফাজ আহমদ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দোসর হিসেবে কাজ করতেন। নানা বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে তিনি তাদের সাহায্য করতেন। তিনি জানতেন দেশের শহিদ মিনারগুলো বাঙালির জাতীয় চেতনার প্রতীক। তাই তিনি পাকিস্তানি সেনাদের কাছে বলেছিলেন, “পাকিস্তানকে যদি বাঁচাতে হয় তো সব স্কুল-কলেজ থেকে শহিদ মিনার হটাও। এগুলো হলো পাকিস্তানের শরীরের কাঁটা।” উক্ত কথার মাধ্যমে দেশ ও জাতির সঙ্গে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মানুষের বিশ্বাসঘাতকতার ঘৃণ্য দিকটি প্রকাশিত হয়েছে।

প্রশ্ন- পাকিস্তান যদি বাঁচাতে হয় তো সব স্কুল কলেজ থেকে শহিদ মিনার হটাও- বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর: বাঙালির দীপ্ত চেতনার প্রতীক শহিদ মিনার নিশ্চিহ্ন করার মধ্য দিয়ে বাঙালির চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য প্রিনসিপ্যাল মিলিটারির বড় কর্তাদের পরামর্শ দিয়ে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছিলেন। ১৯৭১ সালে এ দেশের অনেক লোকই আত্মস্বার্থে স্বদেশ ও স্বজাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ‘রেইনকোট’ গল্পের প্রিনসিপ্যাল তাদের একজন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে জাগ্রত রাখতে এবং শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় দেশের সর্বত্র স্কুল-কলেজে শহিদ মিনারে গড়ে তোলা হয়। প্রিন্সিপ্যাল মনে করেন সেগুলো যদি ধ্বংস করা যায়, তাহলে বাঙালিদের সহজে ধ্বংস করা যাবে। তারা স্বাধীনতার যে স্বপ্ন দেখছে তা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এবং পাকিস্তান রক্ষা পাবে। এই চিন্তা থেকে প্রিন্সিপ্যাল মিলিটারির বড়কর্তাকে উক্ত কথাটি বলেছেন।

প্রশ্ন- ‘এদিককার মানুষ চোখে খালি নৌকা দেখে, নৌকা ভরা অস্ত্র’- এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যাখ্যা দাও।

উত্তর : এখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় গেরিলাদের যুদ্ধ করার পূর্বপ্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে।মুক্তিযুদ্ধে গেরিলারা অনেক সাহসী ভূমিকা পালন করেন। তারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর হামলা করেন। গল্পে উল্লিখিত নুরুল হুদা গেরিলাদের নৌকা করে অস্ত্র বহন করার দৃশ্যটি দেখেন। তিনি ভাবেন তার শ্যালক মিন্টুও গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা। তার বউ তার ভাই মিন্টুর কথা তুললে তার মনে হয় অস্ত্র যেন ঘরে চলে এসেছে। মূলত নুরুল হুদার এমন চিন্তা-ভাবনার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গেরিলা তৎপরতার কথা প্রকাশ পায়।

প্রশ্ন- “আব্বু তাহলে মুক্তিবাহিনী”- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর:- নুরুল হুদা তার শ্যালক মুক্তিযোদ্ধা মিন্টুর রেইনকোটটি গায়ে দিলে তার পাঁচ বছরের ছেলে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে।নুরুল হুদার শ্যালক মিন্টু মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে বাড়ি থেকে চলে গেছে। ঘরে রয়ে গেছে তার রেইনকোট। এক বৃষ্টির সকালে নুরুল হুদার জরুরি তলব পড়ে তার কলেজে। তখন নুরুল হুদার স্ত্রী তাকে রেইনকোটটি বের করে দেয় পরে যাওয়ার জন্য। নুরুল হুদা রেইনকোটটি পরলে তার পাঁচ বছরের ছেলে আলোচ্য উক্তিটি করে।

প্রশ্ন- এখন ইসহাককে কেন মিলিটারির কর্নেল বললেও চলে?

উত্তর: উর্দুতে কথা বলা এবং পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করার কারণে ইসহাককে কর্নেল বললেও চলে।১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের ভয়ে বাঙালিরা সব সময় তটস্থ থাকত। পাকিস্তানের সমর্থক হলেই সে যে শ্রেণি- পেশারই হোক না কেন, বাঙালির ওপর তার ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করেছে এবং তার সেই অপকর্মের সমর্থন করেছে পাকিস্তানি সরকার। ‘রেইনকোট’ গল্পের প্রিন্সিপালের সামান্য পিয়ন ইসহাক উর্দু বলতে পারায় এবং পাকিস্তানের ঘোর সমর্থক হওয়ায় তার ভয়েও সবাই ভীত থাকত।

প্রশ্ন- “রাস্তায় বেরুলে পাঁচ কালেমা সব সময় রেডি রাখে ঠোঁটের ওপর।”- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : জীবননাশের ভয়ে কলেজ শিক্ষক নুরুল হুদা সবসময় পাঁচ কালেমা রেডি রাখে।

স্বাধীন বাংলাদেশ অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন