মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন

মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন

১। “ঐ যে সমস্ত পৃথিবীটা চুপ করে পড়ে রয়েছে ওটাকে এমন ভালোবাসি। ওর এই গাছপালা নদী মাঠ কোলাহল নিস্তব্ধতা প্রভাত সন্ধ্যা সমস্তটা সুদ্ধ দুহাতে আঁকড়ে ধরতে ইচ্ছে করে। মনে হয়, পৃথিবীর কাছ থেকে আমরা যেসব পৃথিবীর ধন পেয়েছি এমন কি কোনো স্বর্গ থেকে পেতুম। স্বর্গ আর কী দিত দত জানি জানি নে, কিন্তু এমন এ কোমলতা দুর্বলতাময় এমন সকরুণ আশঙ্কাভরা অপরিণত এই মানুষগুলির মতো এমন আপনার ধন কোথা থেকে দিত।”

ক. কালের বিবর্তনে আমরা এখন কিসের অংশ?

খ. স্রেফ সদিচ্ছা দ্বারা মানবকল্যাণ সাধিত হয় না কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটিতে ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন ভাবের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকে মানুষ ও মানবতার প্রতি কবির যে অনুরাগ ব্যস্ত হয়েছে তা ‘মানব- কল্যাণ’ প্রবন্ধের মানবতাবোধের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

 

২। গভীর চিন্তায় না গিয়েও প্রতিদিনের জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বুঝে থাকি যে, আমরা একে অন্যের জন্য বাঁচি। আমাদের জীবনযাপন প্রথমত তাদের জন্য যাদের আনন্দ ও কল্যাণের উপর আমাদের সুখ সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল। যাদের আমরা চিনি না, যারা সংখ্যায় বিপুল, সেই মানুষদের নিয়তির সঙ্গেও আমাদের অস্তিত্ব সহমর্মিতার শৃঙ্খলে বাঁধা। প্রতিদিন শতবার আমি নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেই যে, আমার মনোজীবন ও দৈহিক জীবন জীবিত ও মৃত অসংখ্য মানুষের শ্রমের উপর নির্ভরশীল; যেভাবে আমি অন্যদের থেকে গ্রহণ করেছি এবং করছি সেভাবেই অন্যদেরকে আমার দান করে যাওয়াও কর্তব্য।

ক. সমাজের ক্ষুদ্রতম অঙ্গ কোনটি?

খ. “সে উত্তরাধিকারকে আমরা জীবনে প্রয়োগ করতে পারিনি।” বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকটি ‘ মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের মূলভাব একসূত্রে গাঁথা।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।

 

৩। যে ব্যাখ্যা করলেন, তার বৈশিষ্ট্য এই যে, তাঁর স্বামী বিবেকানন্দ শিকাগোর ধর্মসভায় হিন্দুধর্মের হিন্দুধর্ম সম্পূর্ণই উপলম্বির ধর্ম। কোনো আচার অনুষ্ঠানের কথা নেই। ব্রহ্ম বা পরমাত্মার সঙ্গে ব্যক্তি বা জীবাত্মার ঐক্যানুভূতিলাভই ধর্ম। এই ব্রহ্মই একমাত্র সত্য, ব্রহ্মই বিচিত্রের মধ্যে নিজেকে প্রকাশ করছেন। এটা উপলব্ধি করাই ধর্ম। সুতরাং বৈষ্ণব, শাক্ত, হিন্দু, মুসলমান, খ্রীস্টান বলে যে আচরণ- বিভিন্নতা, তা শেষ সত্য নয়। কিন্তু পরম সত্যকে জানবার চেষ্টা করছে সবাই। এখানেই বিবেকানন্দ দুটি মূল্যবান চিন্তাসূত্র দিলেন- একটি বিচিত্রের মধ্যে ঐক্যের উপলব্ধি-প্রয়াসই মানবতার নিদান; আর দ্বিতীয় সূত্র হলো মানুষের মধ্যে ব্রহ্মের শক্তি, তাই মানুষ মহীয়ান।

ক. Existentialism-এর বাংলা কী?

খ. মানব-কল্যাণ কীভাবে মানব-মর্যাদার সহায়ক হয়ে উঠবে? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটি ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন অংশের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত মানবধর্ম ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে বর্ণিত “মানব-কল্যাণ অলৌকিক কিছু নয়-এ এক জাগতিক মানবধর্ম”- এই উক্তিরই প্রতিফলন। মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।

 

৪। ধরামাঝে বিরাট মানবতা মূরতি লভিয়াছে হর্ষে,

সকল আজিকে প্রাণে প্রাণে যে ভাব জাগিয়াছে, রাখিতে হবে সারা বর্ষে;

এ ঈদ হোক আজি সফল ধন্য

নিখিল-মানবের মিলন জন্য,

শুভ যা জেগে থাক, অশুভ দূরে যাক, খোদার শুভাশিস পর্শে।

ক. একমুষ্টি ভিক্ষা দেওয়াকেও আমরা কী মনে করি?

খ. “ওপরের হাত সব সময় নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ।”- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটি ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন বিশেষ দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ?- ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের মূলভাব একসূত্রে গাঁথা।” মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।

মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন

৫। গড়ে ওঠে অরণ্যভেদী লোকালয়

মানুষের শ্রমে,

গড়ে ওঠে মধুকুঞ্জ বংশধারা

– মানুষের প্রেমে কামে,

জ্বলে ওঠে দাবানল – মানুষের ক্রোধে,

লোকালয় অরণ্য হয়।

ক. সত্যিকারের মানবকল্যাণ কী?

খ. বিভক্তিকরণের মনোভাব নিয়ে কারও কল্যাণ করা যায় না কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটি ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন বিষয়ের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের মূলভাব ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের একটি বিশেষ দিককে নির্দেশ করে মাত্র, পুরো বিষয়কে নয়।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

 

৬। জীবনের মূল্য ও মহত্ত্ব সম্বন্দ্বে ভাবতে ভুলে গিয়েছে আজ মানুষ। ফলে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র সবই প্রায় হয়ে পড়েছে নীতিভ্রষ্ট। বুদ্ধি ও চিন্তার চর্চা মানুষকে যুক্তিবাদী ও বিবেকী করে তোলে। যে কোন অবস্থায় বিবেকী মানুষ হিরোশিমা ও নাগাসাকি ঘটাতে পারে না। বিবেকহীন সভ্যতা মানুষকে বর্বরতার কোন চরম সীমায় নিয়ে গেছে ইতিহাসের পৃষ্ঠায় এ দুটি নাম তার অক্ষয় স্বাক্ষর। নীতি ও জীবনের মূল্যবোধ ছাড়া যান্ত্রিক সভ্যতা ও তার প্রগতি মানুষকে কোন লক্ষ্যেই নিয়ে যায় না।

ক. লেখকের মতে দান বা ভিক্ষা গ্রহণ করার দৃশ্যটি কেমন?

খ. রাষ্ট্র কীভাবে জাতির যৌথ জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটি ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন প্রসঙ্গের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব এবং মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে বর্ণিত হিংসাত্মক মনোভাবের পরিণতির বর্ণনা একসূত্রে গাঁথা।” মন্তব্যটির যথার্থতা ব্যাখ্যা কর।

 

৭। বাবু, আশরাফ আতরাফ জানি না, গিরস্ত মানুষ আমরা; যা ভালো তা আল্লাহর চোখেও ভালো। ভালো কাম দেখলে তিনি কাফের-মুসলমান ফারাক করেন না- আমি দেখে আসছি আপনার আদব মেকা আপনাকে বলতে হল না, আমাদের নামাজের অসুবিধা দেখে আপনি নিজেই উঠে বিছানা সরিয়ে আমাদের জায়গা করে দিলেন- এমন জিনিস আল্লাহর নজর এড়ায় না। একজন অশিক্ষিত চাষি শ্রেণীর মানুষের কাছে এ ধরনের উচ্চ সৌজন্যপূর্ণ আদবের কথা নিতান্তই অপ্রত্যাশিত ছিল। বুঝলাম, লোকটি সহজাত সৌজন্যের অধিকারী, যিনি দেখে শুনে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় সম্বন্ধে একটা বিচারের শক্তি অর্জন করেছেন। এরকম মনোভাবের প্রতিষ্ঠা যে কত উঁচু ধরনের সভ্য চিন্তার ওপরে, তা সহজেই অনুমান করা যায়।

ক. Human Relationship-এর বাংলা কী?

খ. “আমাদের বিশ্বাস মুক্তবুদ্ধির সহায়তায় সুপরিকল্পিত পথেই কল্যাণময় পৃথিবী রচনা সম্ভব।”- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটি ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকে ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে আলোচিত মানবিক চেতনা বিকাশের বিষয়টির প্রতিফলন ঘটেছে।” বিশ্লেষণ কর।

 

৮। জন্মিলে মরিতে হয়, আকাশে প্রস্তর নিক্ষেপ করিলে তাহাকে ভূমিতে পড়িতে হয়, খুন করিলে ফাঁসিতে যাইতে হয়, চুরি করিলে কারাগারে যাইতে হয়, তেমনি ভালোবাসিলে কাঁদিতেই হয়- অপরাপরের মত ইহাও একটি জগতের নিয়ম। কিন্তু এ নিয়ম কে প্রচলিত করিল জানি না। ঈশ্বর ইচ্ছায় স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া চক্ষে জল আপনি ফুটিয়া উঠে। কিন্তু মানুষ সখ করিয়া কাঁদে, কিম্বা দায়ে পড়িয়া কাঁদে, অথবা চিরপ্রসিদ্ধ মৌলিক আচার বলিয়াই তাহাদিগকে বাধ্য হইয়া কাঁদিতে হয়- তাহা যাহারা ভালোবাসিয়াছেন এবং তাহার পর কাঁদিয়াছেন তাঁহারাই বিশেষ বলিতে পারেন। আমরা অধম, এ স্বাদ কখনও পাইলাম না, না হইলে ইচ্ছা ছিল ভালোবাসিয়া একচোট খুব কাঁদিয়া লইব, ভালোবাসার ক্রন্দনটা মিন্ট বা কটু পরীক্ষা করি।

ক. কী ধরনের মনোভাব নিয়ে কারও কল্যাণ করা যায় না?

খ. “তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?” লেখক এ বাণী স্মরণ করেছেন কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটি ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন ভাবটিকে মনে করিয়ে দেয়?- ব্যাখ্যা কর।

গ. ঘ. “উদ্দীপকের বাণী এবং ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে বর্ণিত ধর্মগুরুদের উপদেশ বাণী একসূত্রে গাঁথা।” মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

 

৯। রবিউল প্রাকৃতিক দুর্বিপাকে অর্থ ও সম্পদ হারিয়ে খুবই বিপন্ন অবস্থায় পড়ল। সংসার চালানোর তার আর কোনো উপায়ান্তর নেই। দিশেহারা হয়ে সে ছুটে গেল তার বাল্যবন্ধু আক্কাস আলীর কাছে সাহায্যের জন্যে। আক্কাস রবিউলকে একজোড়া হালের গরু, লাঙল, জোয়াল কিনে দিয়ে আবার চাষাবাদের কাজে নেমে পড়ার পরামর্শ দিল। রবিউল বন্ধুর কথামতো কাজে নেমে পড়ল এবং কঠিন শ্রমের বিনিময়ে অল্প সময়ের মধ্যে নিজের অবস্থার প্রভৃত উন্নতি লাভ করল।

ক. মানবকল্যাণের প্রাথমিক সোপান কী?

খ. ‘মানব-কল্যাণ’ কথাটি সস্তা অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে কেন? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের ঘটনা ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়?- ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “পরিশ্রমই মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের পূর্বশর্ত।” মন্তব্যটি উদ্দীপক ও প্রবন্ধের আলোকে মূল্যায়ন কর।

 

১০। আহসান আলী একজন লেখক। তিনি সবসময় মানবতাকে উচ্চ মর্যাদায় স্থান দিতে চেষ্টা করেন তাঁর সৃজনশীল লেখনীতে। তিনি ভিক্ষাবৃত্তিকে চরম অপছন্দ করেন এই জন্য যে, এতে মানবতাকে অবমূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। তাঁর ধারণা ভিক্ষুককে এক মুষ্টি ভিক্ষা দিয়ে কেবল তার প্রতি দাক্ষিণ্য দেখানো হয় সাময়িক মুহূর্তে, তবে পারলৌকিক লাভই মুখ্য উদ্দেশ্য। তাই এতে কখনই প্রকৃত মানবকল্যাণের চিন্তা সৃজন হয় না।

ক. ‘মানব-কল্যাণ’ কথাটা কী অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে?

খ . মানবকল্যাণ বলতে কী বোঝায়? যুক্তিসহ বুঝিয়ে দাও।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত আহসান আলীর চিন্তায় ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন বিষয়টি প্রধান হয়ে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয় ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধটির সমগ্র ভাবের ধারক নয়।- সবিস্তারে মূল্যায়ন কর।

 

১১। আলফাজ সর্দার সমাজের একজন ধনী ব্যক্তি এবং আসগর আলী নিতান্তই দারিদ্যপীড়িত মানুষ। একদিন আসগর আলী আলফাজ সর্দারের কাছে টাকা ধার নিতে আসেন। তখন আলফাজ অত্যন্ত যৌক্তিকতার সঙ্গে আসগরকে বোঝান যে, বারবার টাকা ধার নিয়ে নিজেকে ছোট করা উচিত নয়। তাই টাকা ধার দেওয়ার পরিবর্তে আলফাজ আসগরকে একটি রিকশা কিনে দেন। এতে আসগর আলী দিন-রাত পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে আলফাজ সর্দারের টাকা পরিশোধ করেন এবং সচ্ছল জীবনযাপন করতে থাকেন। এখন আসগরকে জীবিকার কথা ভাবতে হয় না এবং নিজেই নিজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

ক. একদিন এক ব্যক্তি কার কাছে ভিক্ষা চাইতে এসেছিল?

খ. ভিক্ষা চাইতে আসা লোকটিকে নবি কুড়াল কিনে দিয়েছিলেন কেন?- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত আলফাজ সর্দার মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধটির কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্বকারী? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের ইসলামের নবি এবং উদ্দীপকের আলফাজ সর্দার উভয়েই কল্যাণকামী। বিশ্লেষণ কর।

নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন