|

বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন

উদ্দীপকঃ-

ডাক্তার মতিন একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। অপারেশন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি তার সিঙ্গাপুর প্রবাসী বন্ধু ডা. হেনরীর সহায়তা নেন। ত্বকের ক্যান্সার নির্মূলের জন্য ডাক্তার তারেক বর্তমানে একটি বিশেষ ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করেছেন যা গতানুগতিক চিকিৎসার চেয়ে কম খরচ এবং জটিলতা কম।

ক. ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কী?

খ. প্রযুক্তির ব্যবহারে মটোর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব- কথাটি ব্যাখ্যা কর।

গ. ডাক্তার মতিন যে প্রক্রিয়ায় অপারেশন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করেন তা বর্ণনা কর।

ঘ. ডাক্তার তারেকের চিকিৎসা পদ্ধতি অধিক কার্যকর- বিশ্লেষণ কর।

উত্তরঃ-

ক) ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরিকৃত এমন এক ধরনের কৃত্রিম পরিবেশ, যা ব্যবহারকারীদের কাছে উপস্থাপন করা হলে এটিকে বাস্তব পরিবেশ মনে হয়।

খ) ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে মটোর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব। এক্ষেত্রে কম্পিউটার সিম্যুলেশনের মাধ্যমে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের জন্য চালককে একটি নির্দিষ্ট আসনে বসতে হয়। চালকের মাথায় পরিহিত হেড মাউন্টেড ডিসপ্লের সাহায্যে কম্পিউটার দ্বারা সৃষ্ট যানবাহনের অভ্যন্তরীণ অংশ এবং আশপাশের রাস্তায় পরিবেশের একটি মডেল দেখানো হয়। প্রশিক্ষণার্থী এ পরিবেশের সাথে একাত্ম হয়ে বাস্তবের ন্যায় মটর ড্রাইভিং কৌশল রপ্ত করতে সক্ষম হয়। অর্থাৎ এর মাধ্যমে সহজেই ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব হচ্ছে।

গ) ডাক্তার মতিন টেলিমেডিসিন প্রক্রিয়ায় অপারেশন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করেন। এটি এমন একটি সিস্টেম, যার মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং বা টেলিকনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অন্যপ্রান্তে অবস্থিত রোগীর চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। আর এ টেলিমেডিসিন চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য ভিডিও কনফারেন্সিং- এর মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করে সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসাপত্র গ্রহণ করে সুচিকিৎসা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। উদ্দীপকে ডাক্তার মতিন ভিডিও কনফারেন্সিং প্রক্রিয়ায় সিঙ্গাপুর প্রবাসী বন্ধু ডা. হেনরীর সাথে অপারেশন থিয়েটারে যুক্ত হন এবং রোগীর সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। সর্বোপরি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা ইন্টারনেট, মোবাইল ও ওয়েব টেকনোলজি ব্যবহার করে ডাক্তার ও রোগী দূরবর্তী স্থানে থেকেও টেলিমেডিসিন প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারে। টেলিমেডিসিন ও ই-হেলথ এর সাহায্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে যাতায়াত করা কষ্টকর সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা দেওয়া সম্ভব হয়।

ঘ) উদ্দীপকে বর্ণিত ডাক্তার তারেকের চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ক্রায়োসার্জারি। ক্রায়োসার্জারি এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি, যা অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে ত্বকের অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত রোগাক্রান্ত টিস্যু/ত্বক কোষ ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ পদ্ধতির চিকিৎসায় প্রথমেই সিম্যুলেটেড সফটওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত কোষগুলোর (যেমন- ক্যান্সার ইত্যাদি) অবস্থান ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে রোগাক্রান্ত কোষটিতে আল্ট্রা থিন সুচযুক্ত ক্রায়োপ্রোব প্রবেশ করিয়ে নির্ধারিত ক্রায়োজেনিক গ্যাস প্রয়োগ করা হয়। তাপমাত্রা অত্যধিক হ্রাসের ফলে (-৪১ থেকে – ১৯৬ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড) নির্বাচিত টিস্যুটিতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঐ নিম্নতম তাপমাত্রায় রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সম্ভব না হওয়ার দরুন রোগাক্রান্ত টিস্যুর ক্ষতিসাধন হয়। ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসায় রোগাক্রান্ত টিস্যুর ধরন অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট শীতলতায় পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্যাস যেমন- তরল নাইট্রোজেন আর্গন, অক্সিজেন বা তরল কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির তুলনায় ক্যান্সার ও নিউরোসার্জারি চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি অনেক সাশ্রয়ী এবং সময় কম লাগে। এ পদ্ধতিতে ব্যথা, রক্তপাত অথবা অপারেশনজনিত কাটা-ছেঁড়ার জটিলতা নেই। রোগীকে কোনো পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হয় না এবং অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতাল পর্যন্তও রোগীকে নিতে হয় না।উপরের বর্ণনার আলোকে বলা যায়, ত্বকের ক্যান্সার নির্মূলে তারেকের চিকিৎসা পদ্ধতিটি অধিক কার্যকর ও যথাযথ।

উদ্দীপকঃ-

অভি লন্ডনের রয়েল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। ডাক্তার এক ধরনের মিনিম্যালি ইনহেন্সিভ পদ্ধতিতে ক্রায়োপ্রোব ব্যবহারের মাধ্যমে তাঁর চিকিৎসা করলেন এবং বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণরূপে সুস্থ। ক. স্যাটেলাইট কী?

খ. ক্রায়োপ্রোব কী ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে কীভাবে জীবাণু ধ্বংস করা হয়? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের চিকিৎসা পদ্ধতি বিশেষ কিছু রোগীদের জন্য উপযোগী – বিশ্লেষণ কর।

ক) স্যাটেলাইট হলো কৃত্রিম উপগ্রহ, যা ভূ-পৃষ্ঠ হতে ৩৪০০০ কি. মি. উর্ধ্বাকাশে স্থাপন করা হয় ফলে পৃথিবীর গতির সমান গতিতে পরিভ্রমণ করতে পারে।

খ) অস্বাভাবিক বা রোগাক্রান্ত টিস্যুকে অত্যধিক ঠান্ডা প্রয়োগ করে ক্রায়োসার্জারি বা ক্রায়োথেরাপি দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে একটি নল ব্যবহার করে তরল নাইট্রোজেন, কার্বনডাই অক্সাইড, আর্গন ও ডাই মিথাইল ইথার ব্যবহার করা হয়। এই নলটিকে ক্রায়োপ্রোব বলে।

গ) উদ্দীপকে মিনিম্যালি ইনহেন্সিভ পদ্ধতিতে ক্রায়োপ্রোব ব্যবহারের মাধ্যমে দেওয়া চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ক্রায়োসার্জারি। ক্রায়োসার্জারি এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি, যা অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে ত্বকের অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত রোগাক্রান্ত টিস্যু/ত্বক কোষ ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে অত্যন্ত শীতল তাপমাত্রায় কোষকলার অভ্যন্তরে বলের আকৃতিবিশিষ্ট ছোট ছোট বরফের কৃষ্টাল তৈরি হয়ে আক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে। এ যন্ত্রে সাধারণত শীতলকারী হিসেবে তরল নাইট্রোজেন অথবা আর্গন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। শরীরের বাইরের দিকে অবস্থিত অঙ্গের ক্ষেত্রে অত্যন্ত শীতল এ পদার্থ আক্রান্ত স্থানের কোষ কলার ওপর তুলা জড়ানো শলাকা বা স্প্রে করার কোনো যন্ত্রের সাহায্যে সরাসরি প্রয়োগ করা হয়। এ ক্ষেত্রে কখনো কখনো একটি নলের মধ্যে কার্বন ডাইঅক্সাইডের অত্যন্ত ছোট ছোট বরফের টুকরো তৈরি করে অথবা এসিটোনের সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় মন্ডের মতো তৈরি করেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শরীরের অভ্যন্তরে টিউমারের ক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানের উপর স্থাপিত ক্রায়োপ্রোব নামক ফাঁপা নলটির মধ্য দিয়ে শীতল পদার্থ সঞ্চালিত করে চারপাশে এক-দুই ইঞ্চি পরিমাণ জায়গায় অবস্থিত সুস্থ কোষ কলাসহ টিউমারটি হিমায়িত করে তোলা হয়। তাছাড়া কখনো কখনো টিউমারের বিভিন্ন অংশের জন্য একের অধিক প্রোব ব্যবহার করা হয়। এরপর প্রোবগুলো সরিয়ে নিয়ে হিমায়িত কোষগুলো গলে যেতে দেওয়া হয়। একইভাবে কয়েকবার এ পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে জীবাণু ধ্বংস করা হয়। ক্যান্সার কোষকলা ধ্বংসের জন্য সাধারণত -৪০ থেকে ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা প্রয়োগ করা হয়।

ঘ) উদ্দীপকের চিকিৎসা পদ্ধতি অর্থাৎ ক্রায়োসার্জারি বিশেষ কিছু রোগীদের জন্য উপযোগী। এটি যাদের জন্য উপযোগী তা নিচে দেওয়া হলো-

১. যাদের ত্বকে ছোট টিউমার, ক্যান্সার, তিল ও আঁচিল ইত্যাদি থাকে তাদের ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়।

২. ক্রায়োসার্জারির দ্বারা অভ্যন্তরীণ কিছু রোগ যেমন- লিভার ক্যান্সার, বৃত্ত ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, মুখের ক্যান্সার, গ্রীবাদেশীয় গোলযোগ, পাইলস ইত্যাদি রোগীর চিকিৎসা করা হয়।

৩. Plantar Fascia ও Fibroma ইত্যাদি ক্ষেত্রেও ক্রায়োসার্জারির প্রয়োগ করা হয়।

৪. তাছাড়া যারা শারীরিকভাবে দুর্বল ও কোনোরূপ অপারেশনের ধকল সহ্য করতে পারবে না তাদের জন্য এই পদ্ধতি উপযোগী।

উপরে বর্ণিত রোগগুলোর ক্ষেত্রেই সাধারণত ক্রায়োসার্জারির চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয়। অন্য কোনো রোগে এ চিকিৎসা উপযোগী নয়। তাই বলা যায়, ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসা বিশেষ কিছু রোগীদের জন্য উপযোগী।

 

উদ্দীপকঃ-

সাকিব তার চাচার অফিসে গিয়ে দেখল যে, চাচার কক্ষের নির্ধারিত স্থানে আঙুল স্পর্শ করলে দরজা খুলে যায়। সে আরও দেখতে পেল গবেষণা কক্ষের বিশেষ স্থানে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে দরজা খুলে যায়। সাকিবের এক প্রতিবেশী তাকে বলল যে, ত্বকের টিউমার চিকিৎসায় সে রক্তপাতহীন চিকিৎসা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।

ক. কিউরিওসিটি রেভার কী?

খ. রোবট একটি প্রোগ্রাম কন্ট্রোল ডিভাইস- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের গবেষণা কক্ষে কোন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে সাকিবের প্রতিবেশীর চিকিৎসা পদ্ধতি বিশ্লেষণ কর।

ক) কিউরিওসিটি রোভার হলো নাসা কর্তৃক মঙ্গল গ্রহে প্রেরিত রোবট মানব।

খ) রোবট সাধারণত একটি ইলেকট্রো-যান্ত্রিক ব্যবস্থা যার কাজকর্ম, অবয়ব ও চলাফেরা সবই নিয়ন্ত্রিত। রোবটবিজ্ঞান হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ও যন্ত্রসমূহ ডিজাইন ও উৎপাদন সংক্রান্ত বিজ্ঞান। যা কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা ইলেকট্রনিক সার্কিট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় বা আধা স্বয়ংক্রিয় করা হলে ঠিক সেই প্রোগ্রাম অনুসারে কাজ করে। রোবট স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম অনুসারে সকল কাজ করে থাকে। তাই রোবট একটি প্রোগ্রাম কন্ট্রোল ডিভাইস।

গ) উদ্দীপকের গবেষণা কক্ষে যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো বায়োমেট্রিক্স এর আইরিশ বা রেটিনা স্ক্যান প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনো বিশেষ স্থানে তাকিয়ে থাকলে দরজা খুলে যায়।আইরিশ শনাক্তকরণ পদ্ধতিতে চোখের তারার রঙিন অংশকে পরীক্ষা করা হয় এবং রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতিতে চোখের মণিতে রক্তের লেয়ারের পরিমাণ পরিমাপ করে মানুষকে শনাক্ত করা হয়। আইরিশ। বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে কোনো ব্যক্তির এক বা উভয় চোখের আইরিশ বা চোখের তারার দৃশ্যমান রঙিন অংশের ভিত্তিতে পরীক্ষা করে গাণিতিক প্যাটার্ন রিকগনিশন পদ্ধতির প্রয়োগে শনাক্তকরণ করা হয়। এ পদ্ধতিতে চোখ ও মাথাকে স্থির করে একটি ক্যামেরা সম্পন্ন ডিভাইসের সামনে দাঁড়াতে হয়। এতে প্রায় ১ থেকে ১০ সেকেন্ড সময় লাগে। আগে থেকে ধারণ করা চোখের আইরিশের প্যাটার্নের সাথে মিলিয়ে শনাক্তকরণ করা হয়।এ পদ্ধতির প্রয়োগে পাসপোর্টবিহীনভাবে এক দেশের সীমা অতিক্রম করে অন্য দেশে গমন করা যেতে পারে যা বর্তমানে ইউরোপে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, মিলিটারি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে আইরিশ পদ্ধতি শনাক্তকরণের কাজে ব্যবহৃত হয়।

ঘ) উদ্দীপকে সাকিবের প্রতিবেশীর চিকিৎসা পদ্ধতিটি হলো ক্রায়োসার্জারি।ক্রায়োসার্জারি এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি, যা অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে ত্বকের অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত রোগাক্রান্ত টিস্যু/ত্বক কোষ ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ ল। পদ্ধতির চিকিৎসায় প্রথমেই সিম্যুলেটেড সফটওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত কোষগুলোর (যেমন- ক্যান্সার ইত্যাদি) অবস্থান ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে রোগাক্রান্ত কোষটিতে আল্ট্রা থিন সুচযুক্ত ই-ক্রায়োপ্রোব প্রবেশ করিয়ে নির্ধারিত ক্রায়োজেনিক গ্যাস প্রয়োগ করা হয়। তাপমাত্রা অত্যধিক হ্রাসের ফলে (-৪১ থেকে – ১৯৬ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড) নির্বাচিত টিস্যুটিতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঐ নিম্নতম তাপমাত্রায় রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সম্ভব না হওয়ার দরুণ রোগাক্রান্ত টিস্যুর ক্ষতিসাধন হয়। ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসায় রোগাক্রান্ত টিস্যুর ধরন অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট শীতলতায় পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্যাস যেমন- তরল নাইট্রোজেন, আর্গন, অক্সিজেন বা তরল কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির তুলনায় ক্যান্সার ও নিউরোসার্জারি চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি অনেক সাশ্রয়ী এবং সময় কম লাগে। এ পদ্ধতিতে ব্যথা, রক্তপাত অথবা অপারেশনজনিত কাটা-ছেঁড়ার জটিলতা নেই। রোগীকে কোনো পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হয় না এবং অনেকক্ষেত্রে হাসপাতাল পর্যন্তও রোগীকে নিতে হয় না।

উদ্দীপকঃ-

শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা ডা: গফুর লিভার টিউমারে আক্রান্ত রোগীদের বিনা রক্তপাতে টিউমার অপসারণের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। তিনি কম্পিউটার সিস্টেম নিয়ন্ত্রিত কৃত্রিম পরিবেশে অপারেশনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এ প্রযুক্তি তার পেশাগত সাফল্যও এনে দিয়েছে।

ক. ন্যানোটেকনোলজি কী?

খ. মানুষের জন্য দুঃসাধ্য জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহের প্রযুক্তি ব্যাখ্যা কর।

গ. ডা: গফুরের চিকিৎসা সেবায় ব্যবহৃত পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ডা: গফুরের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি কিভাবে তার সাফল্যের সাথে জড়িত বিশ্লেষণ কর।

বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন

উত্তর-

ক) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে 1 থেকে 100 ন্যানোমিটার আকৃতির কোনো কিছু তৈরি করা এবং ব্যবহার করার প্রযুক্তিই হলো ন্যানোটেকনোলজি।

খ) মানুষের জন্য দুঃসাধ্য জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহের প্রযুক্তি হলো রোবেটিক্স। রোবটিক্স হলো প্রযুক্তির একটি শাখা যেটি রোবটসমূহের ডিজাইন, নির্মাণ কার্যক্রম ও প্রয়োগ নিয়ে কাজ করে। মানুষের পক্ষে যে কাজ করা কঠিন, বিপজ্জনক, ও পরিশ্রমসাধ্য যেমন- ওয়েল্ডিং ঢালাই, ভারি মালামাল উঠানামা, যন্ত্রাংশ সংযোজন, গাড়ি রং করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে রোবটিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। মেডিকেল রোবটের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় হারানো হাত-পা এখন কৃত্রিম হাত, বাহু, পা ইত্যাদি দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। বর্তমানে সার্জারিতেও রোবট ব্যবহার করা হয়।

 

গ) উদ্দীপকের ডা. গফুরের চিকিৎসা সেবায় ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো ক্রায়োসার্জারি। এ প্রযুক্তিতে স্বল্পসময়ে -৪০° তাপমাত্রায় রক্তপাতহীনভাবে টিউমার অপসারণ করা যায়।ক্রায়োসার্জারি এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি, যা অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে ত্বকের অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত রোগাক্রান্ত টিস্যু/ত্বক কোষ ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ পদ্ধতির চিকিৎসায় প্রথমেই সিম্যুলেটেড সফটওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত কোষগুলোর (যেমন- ক্যান্সার ইত্যাদি) অবস্থান’ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে রোগাক্রান্ত কোষটিতে আল্ট্রা থিন সুচযুক্ত ক্রায়োপ্রোব প্রবেশ করিয়ে নির্ধারিত ক্রায়োজেনিক গ্যাস প্রয়োগ করা হয়। তাপমাত্রা অত্যধিক হ্রাসের ফলে (-৪১ থেকে ১৯৬ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড) নির্বাচিত টিস্যুটিতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঐ নিম্নতম তাপমাত্রায় রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সম্ভব না হওয়ার দরুণ রোগাক্রান্ত টিস্যুর ক্ষতিসাধন হয়। ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসায় রোগাক্রান্ত টিস্যুর ধরন অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট শীতলতায় পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্যাস যেমন- তরল নাইট্রোজেন, আর্গন, অক্সিজেন বা তরল কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির তুলনায় ক্যান্সার ও নিউরোসার্জারি চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি অনেক সাশ্রয়ী এবং সময় কম লাগে। এ পদ্ধতিতে ব্যথা, রক্তপাত অথবা অপারেশনজনিত কাটা-ছেঁড়ার জটিলতা নেই। রোগীকে কোনো পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হয় না এবং অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতাল পর্যন্তও রোগীকে নিতে হয় না।

 

ঘ) ডাঃ গফুরের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। এটি মূলত কম্পিউটার প্রযুক্তি ও সিম্যুলেশন তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। এর মাধমে ত্রিমাত্রিক ইমেজ তৈরি করে অতি অসম্ভব কাজও করা সম্ভব।ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিস্টেম যাতে মডেলিং ও অনুকরণবিদ্যার প্রয়োগের মাধ্যমে মানুষ কৃত্রিম বহুমাত্রিক ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য পরিবেশের সাথে সংযোগ স্থাপন বা উপলব্ধি করতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে অনুকরণকৃত পরিবেশ হুবহু বাস্তব পৃথিবীর মতো হতে পারে। এক্ষেত্রে অনেক সময় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। উদ্দীপকে ডা: গফুরাত্র ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পরিবেশে হাত, মাথা ও চোখে কিছু বিশেষ যন্ত্র পরে ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। আর এর মাধ্যমেই তিনি শল্য চিকিৎসার জটিল বিষয়গুলো সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করতে সক্ষম হন, যা তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদানে আরো দক্ষ করতে সক্ষম হয়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির এ ধরনের প্রয়োগে বিভিন্ন ধরনের ভুল ও ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।উপরোক্ত সুবিধাগুলোর জন্য বলা যায়, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ডা. গফুরের সাফল্যের সাথে জড়িত।

উদ্দীপকঃ-

নিউরো সার্জন মি. কাফি সিমুলেটেড পদ্ধতিতে অতিনিম্ন তাপমাত্রায় আইসিটি প্রযুক্তি ব্যবহারে ক্যান্সারের রক্তপাতবিহীন শল্য চিকিৎসার ! জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা লাভ করেন। তিনি মনে করেন এর সাথে ব্যবহারিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার সুযোগ পেলে তা নিখুঁত ও সর্বাংশে সফল হত।

ক. রোবট কী?

খ. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক্সপার্ট সিস্টেমের একটি ধরনা ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে মি. কাফির আইসিটি নির্ভর চিকিৎসা পদ্ধতিটি আলোচনা কর।

ঘ. উদ্দীপকে মি. কাফির উপলব্ধির সাথে প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতার তুলনামূলক বিশ্লেষণ দাও।

ক) রোবট হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা যন্ত্রমানব, যা মানুষের কর্মকাণ্ডের অনুরূপ কর্মকাণ্ড করতে পারে।

খ) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো মানুষের চিন্তাভাবনাগুলোকে কৃত্রিম উপায়ে কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রের মধ্যে রূপ দেওয়ার ব্যবস্থা। এক্সপার্ট সিস্টেম হলো এক ধরনের সিদ্ধান্ত সমর্থন পদ্ধতি যা নির্দিষ্ট বিষয়ে মানুষের ন্যায় কৃত্রিম দক্ষতা নিয়ে তৈরি। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অনেকগুলো মাইক্রোপ্রসেসর ও চিপ ব্যবহার করে প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে কম্পিউটারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সৃষ্টি করা হয়। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক ধরনের এক্সপার্ট সিস্টেম।

 

গ) উদ্দীপকের মি. কাফির আইসিটি নির্ভর চিকিৎসা পদ্ধতিটি হলো ক্রায়োসার্জারি। নিচে এটি আলোচনা করা হলো-

ক্রায়োসার্জারি এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি, যা অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে ত্বকের অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত রোগাক্রান্ত টিস্যু/ত্বক কোষ ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ পদ্ধতির চিকিৎসায় প্রথমেই সিম্যুলেটেড সফটওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত কোষগুলোর (যেমন- ক্যান্সার ইত্যাদি) অবস্থান ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে রোগাক্রান্ত কোষটিতে আল্ট্রা থিন সুচযুক্ত ক্রায়োপ্রোব প্রবেশ করিয়ে নির্ধারিত ক্রায়োজেনিক গ্যাস প্রয়োগ করা হয়। তাপমাত্রা অত্যধিক হ্রাসের ফলে (-৪১ থেকে ১৯৬ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড) নির্বাচিত টিস্যুটিতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঐ নিম্নতম তাপমাত্রায় রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সম্ভব না হওয়ার দরুণ রোগাক্রান্ত টিস্যুর ক্ষতিসাধন হয়। ক্রায়োসার্জারি • চিকিৎসায় রোগাক্রান্ত টিস্যুর ধরন অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট শীতলতায় পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্যাস যেমন- তরল নাইট্রোজেন, 1 আর্গন, অক্সিজেন বা তরল কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির তুলনায় ক্যান্সার ও নিউরোসার্জারি চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি অনেক সাশ্রয়ী এবং সময় কম লাগে। এ পদ্ধতিতে ব্যথা, রক্তপাত অথবা অপারেশনজনিত কাটা-ছেঁড়ার জটিলতা নেই। রোগীকে কোনো পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হয় না এবং অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতাল পর্যন্তও রোগীকে নিতে হয় না।

 

ঘ) উদ্দীপকে মি. কাফি ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে শল্য চিকিৎদার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা লাভ করেন এবং উপলব্ধি করেন, এর সাথে ব্যবহারিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার সুযোগ পেলে তা নিখুঁত ও সর্বাংশে সফল হতো। নিচে এ দুই প্রকার অভিজ্ঞতার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো-

ডাক্তারদের আধুনিক মানের প্রশিক্ষণ প্রদানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে অস্ত্রোপচারে এমআইএসটি/ MIST (Minimally Invasive Surgical Trainer) দ্বারা বাস্তবের ন্যায় জীবন্ত মানুষের উপর মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অপারেশন করা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে শেখানো যায়। ল্যাপরোস্কোপিক এবং আতঙ্কগ্রস্ত রোগীদের চিকিৎসা, রোবটিক্স সার্জারি এবং চিকিৎসক প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হয়। এ পদ্ধতিতে কম্পিউটার সিম্যুলেশন ব্যবহার করে ল্যাপারোস্কোপির পরিচালনার ‘বিভিন্ন কৌশল দেখানো হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সুবিধা হলো এটা ডাক্তারদের নিরাপদ পরিবেশে নতুন কিছু শিখতে বা অনুশীলন করতে সাহায্য করে এবং সহজে ও সুবিধাজনক উপায়ে বাস্তবে অপারেশন থিয়েটারে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। শিক্ষানবিস ডাক্তাররা ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে মেডিকেল ট্রেনিং টুল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে তারা একেবারে অপারেশন থিয়েটারে রোগীর অপারেশন পরিচালনার মতোই বাস্তবিক অনুভূতি পেয়ে থাকেন। ভার্চুয়াল অপারেটিং কক্ষে ছাত্ররা কৌশলগত দক্ষতা, অপারেশন ও রোগ সম্পর্কিত তাত্ত্বিক বিষয়াদির কার্যপ্রণালি অনুশীলন করতে সক্ষম হন।চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা লাভ অনেক ক্ষেত্রে সহজপ্রাপ্য নাও হতে পারে। পাওয়া গেলেও তা সহজে বোধগম্য না হতে পারে। তবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে উপরের বর্ণিত অভিজ্ঞতার পাশাপাশি যদি ডাক্তারদের ব্যবহারিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা প্রদান সম্ভব হয় তবে তা নিখুঁত ও সর্বাংশে সফল হবে। এর মাধ্যমে তারা রোগীদের সঠিক চিকিৎসা প্রদান করতে পারবেন।

উদ্দীপকঃ-

রিফাত আয়নাতে দেখল তার চেহারার কিছু স্থানে ছোট ছোট আঁচিলের মতো দাগ। সে অত্যন্ত চিন্তায় পড়ে গেল। রাইসা রিফাতকে নিয়ে তার ডাক্তার বাবার কাছে গেলে তিনি তরল নাইট্রোজেন, আর্গন, কার্বন ডাইঅক্সাইড ইত্যাদি ব্যবহার করে দ্রুত তাকে সারিয়ে তুললেন। সেই আনন্দে বিনোদন পার্কে গিয়ে চোখে চশমা পড়ে তারা অনেক্ষণ মজা করে চাঁদ ভ্রমণের অনুভূতি অনুভব করে।

ক. বায়োইনফরমেটিক্স কী?

খ. “দরজায় বিশেষ স্থানে তাকাতেই তা খুলে যায়”- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে ব্যবহৃত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে বিনোদন পার্কে ব্যবহৃত পদ্ধতি বিশ্লেষণ কর।

উত্তর-

ক) বায়োইনফরমেটিক্স হলো জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স, ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত এবং পরিসংখ্যানের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিষয় যা জীববিজ্ঞানের বিশাল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং সঠিকভাবে প্রক্রিয়া করে সেগুলো ব্যাখ্যা করে।

 

খ) “দরজায় বিশেষ স্থানে তাকাতেই তা খুলে যায়” এখানে বায়োমেট্রিক্সের চোখের মণি ও রেটিনা বা আইরিশ স্ক্যান পদ্ধতিকে বোঝানো হয়েছে। আইরিস শনাক্তকরণ পদ্ধতিতে চোখের তারার রঙিন অংশকে পরীক্ষা করা হয় এবং রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতিতে চোখের মণিতে রক্তের লেয়ারের পরিমাণ পরিমাপ করে মানুষকে শনাক্ত করা হয়। আইরিস বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে কোনো ব্যক্তির এক বা উভয় চোখের আইরিশ বা চোখের তারার দৃশ্যমান রঙিন অংশের ভিত্তিতে পরীক্ষা করে গাণিতিক প্যাটার্ন রিকগনিশন পদ্ধতির প্রয়োগে শনাক্তকরণ করা হয়। পরবর্তীতে দরজায় স্থাপিত বিশেষ স্থানে তাকালে দরজা খুলে যায়।

গ) উদ্দীপকে ব্যবহৃত চিকিৎসা পদ্ধতিটি হলো ক্রায়োসার্জারি। নিচে এই পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করা হলো-ক্রায়োসার্জারি এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি, যা অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে ত্বকের অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত রোগাক্রান্ত টিস্যু/ত্বক কোষ ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ পদ্ধতির চিকিৎসায় প্রথমেই সিম্যুলেটেড সফটওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত কোষগুলোর (যেমন- ক্যান্সার ইত্যাদি) অবস্থান ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে রোগাক্রান্ত কোষটিতে আল্ট্রা থিন সুচযুক্ত ক্রায়োপ্রোব প্রবেশ করিয়ে নির্ধারিত ক্রায়োজেনিক গ্যাস প্রয়োগ করা হয়। তাপমাত্রা অত্যধিক হ্রাসের ফলে (-৪১ থেকে ১৯৬ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড) নির্বাচিত টিস্যুটিতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঐ নিম্নতম তাপমাত্রায় রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সম্ভব না হওয়ার দরুণ রোগাক্রান্ত টিস্যুর ক্ষতিসাধন হয়। ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসায় রোগাক্রান্ত টিস্যুর ধরন অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট শীতলতায় পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্যাস যেমন- তরল নাইট্রোজেন, আর্গন, অক্সিজেন বা তরল কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করা হয়।অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির তুলনায় ক্যান্সার ও নিউরোসার্জারি চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি অনেক সাশ্রয়ী এবং সময় কম লাগে। এ পদ্ধতিতে ব্যথা, রক্তপাত অথবা অপারেশনজনিত কাটা-ছেঁড়ার জটিলতা নেই। রোগীকে কোনো পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হয় না এবং অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতাল পর্যন্তও রোগীকে নিতে হয় না।

 

ঘ) উদ্দীপকে বিনোদন পার্কে ব্যবহৃত চাঁদ ভ্রমণের অনুভূতি অনুভবের পদ্ধতিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। নিচে এ পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করা হলো- ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো হার্ডওয়‍্যার ও সফটওয়‍্যারের মাধ্যমে তৈরিকৃত এমন এক ধরনের কৃত্রিম পরিবেশ, যা ব্যবহারকারীদের কাছে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যাতে তারা এটিকে বাস্তব পরিবেশ হিসেবে মনে করে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে অনুকরণকৃত পরিবেশ হুবহু বাস্তব পৃথিবীর মতো হতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী সম্পূর্ণরূপে একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিমজ্জিত হয়ে যায়। তথ্য আদান-প্রদানকারী বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস সংবলিত চশমা, headsets, gloves, suit ইত্যাদি পরিধান করার মাধ্যমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে বাস্তবকে উপলব্ধি করা হয়। একটি typical VR format-এ একজন ব্যবহারকারী ত্রিমাত্রিক স্ক্রিন সংবলিত একটি হেলমেট পরে এবং তার মধ্যে দিয়ে বাস্তব থেকে অনুকরণকৃত অ্যানিমেটেড বা প্রাণবন্ত ছবি দেখে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে মাল্টিসেন্সর হিউম্যান-কম্পিউটার ইন্টার সেন্সসমূহের ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত থাকে যা মানব ব্যবহারকারীদেরকে কম্পিউটার-সিমুলেটেড অবজেক্ট, স্পেস, কার্যক্রম এবং বিশ্বকে একবারে বাস্তবের মতো অভিজ্ঞতা প্রদানে সক্ষম করে তোলে। উদ্দীপকে গবেষণা প্রতিষ্ঠান আলফা-এর বিজ্ঞানীগণও উপরে বর্ণিত উপায়ে ব্রেইনের অভ্যন্তরের গঠনের কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি সিমুলেটেড পরিবেশ তৈরি করে তা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন।

কম্পিউটারের কয়েকটি ব্যবহার লিখ?