কম্পিউটারের কয়েকটি ব্যবহার লিখ?

Table of Contents

উদ্দীপকঃ-

আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষাটি আধুনিক চিকিৎসা ব্যভস্থাকে উন্নত করেছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন জটিল রোগ সহজে ও দ্রুততার সঙ্গে সনাক্ত করা যায়। এটি শরীরের অভ্যন্তরীন বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পর্যবেক্ষণ ও রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।

ক. সিটিস্ক্যান এর পূর্ণরূপ কী?

খ. কম্পিউটারের কয়েকটি ব্যবহার লিখ?

গ. উদ্দীপকের পরীক্ষা পদ্ধতিটির ব্যবহার বর্ণনা করো।

ঘ. উপরোক্ত প্রক্রিয়াটি কিভাবে সম্পূর্ণ হয় বিশ্লেষণ করো।

 

প্রশ্নের উত্তরঃ-

ক) CT Scan এর পূর্ণরূপ হলো- Computed Tomography Scan.

 

খ) কম্পিউটারের কয়েকটি ব্যবহার নিম্নে দেয়া হলোঃ-

১. চিকিৎসা: বিভিন্ন রোগের লক্ষণ, ঔষধ নির্বাচন, চোখ পরীক্ষা, এক্সরে, হার্ট অপারেশন ও চিকিৎসা গবেষণায় কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।

২. ব্যবসা বাণিজ্য: পণ্যের মজুদ নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসায়িক যোগাযোগ, ব্যাংকিং সিস্টেম, আয় ব্যয় হিসাব ও বাজেট নিয়ন্ত্রণে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।

৩. যাতায়াত ব্যবস্থা: জাহাজ, বিমান ও মোটরগাড়ি, টেন ইত্যাদি যানবাহনের ট্রাফিক কন্ট্রোল, গতি নিয়ন্ত্রণ, টিকেট বুকিং ইত্যাদি কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।

৪. শিল্প কারখানা: পণ্য উৎপাদনে স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ, পণ্যের গুণগর্ত মান যাচাই, তথ্য সংগ্রহ, কর্মচারীদের বেতন ভাতা, কাজের সিডিওলের হিসাব ইত্যাদি কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে।

৫. শিক্ষা: শ্রেণি কক্ষে শিক্ষণ, স্বশিখন, পরীক্ষার উত্তরপত্রে মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশ ইত্যাদি কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।

 

গ) উদ্দীপকের পরীক্ষা পদ্ধতিটির নাম আল্ট্রাসনোগ্রাফী। রোগ নির্ণয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফীর ব্যবহার অনেক গুরুত্বপূর্ণ।আল্ট্রাসনোগ্রাফির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার স্ত্রীরোগ এবং প্রসূতিবিজ্ঞানে লক্ষ করা যায়। এর সাহায্যে ভূণের আকার, পূর্ণতা, ভ্রুণের স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক অবস্থান জানা যায়।প্রসূতিবিদ্যায় এটি, একটি দ্রুত, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য কৌশল।আল্ট্রাসনোগ্রাফির সাহায্যে জড়ায়ুর টিউমার এবং অন্যান্য পেলভিক মাসের (Pelvic Mass) উপস্থিতিও সনাক্ত করা যায়।বিভিন্ন ধরনের ডাক্তারী পরীক্ষা যেমন- পিত্তপাথর, হৃদযন্ত্রের ত্রুটি এবং টিউমার সনাক্তকরণে আল্ট্রাসনোগ্রাম ব্যবহার করা হয়। হৃৎপিণ্ড পরীক্ষা করার জন্য যখন আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করা হয় তখন এ পরীক্ষাকে ইকোকার্ডিওগ্রাফি বলে।এক্সরের তুলনায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি অধিকতর নিরাপদ রোগ নির্ণয় পদ্ধতি। তবুও আল্ট্রাসাউন্ড খুব সীমিত সময়ের জন্য ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া ট্রান্সডিউসারকে সবসময় নড়াচড়ার মধ্যে রাখতে হবে, যেন এটি কোনো নির্দিষ্ট স্থানে স্থির না থাকে।

 

ঘ) আল্ট্রানোগ্রাফি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দের প্রতিফলনের উপর নির্ভরশীল। উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ যখন শরীরের গভীরের কোনো অঙ্গ বা পেশি থেকে প্রতিফলিত হয় তখন প্রতিফলিত তরঙ্গের সাহায্যে ঐ অঙ্গের অনুরূপ একটি প্রতিবিম্ব মনিটরের পর্দায় গঠন করা হয়।রোগ নির্ণয়ের জন্য যে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয় সেই শব্দের কম্পাঙ্ক 1-10 মেগাহার্টজ হয়ে থাকে। আল্ট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্রে ট্রান্সডিউসার নামক একটি স্ফটিককে বৈদ্যুতিকভাবে উত্তেজিত বা উদ্দীপিত করে উচ্চ কম্পাঙ্কের আল্ট্রাসনিক তরঙ্গ উৎপন্ন করা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্রে আল্ট্রাসনিক তরঙ্গগুলোকে একটি সরু বিমে পরিণত করা হয়। পরে এই বীমটিকে যে অঙ্গের প্রতিবিম্ব রেকর্ড করতে হবে তার দিকে প্রেরণ করা হয়। যে অঙ্গের দিকে এটি নির্দেশ করা হয় সেই তলের প্রকৃতি অনুযায়ী বীমটি প্রতিফলিত, শোষিত বা সংবাহিত হয়। যখন বীমটি বিভিন্ন ঘনত্বের পেশির (যেমন- মাংসপেশি, রক্ত) বিভেদতলে আপতিত হয় তখন তরঙ্গের একটি অংশ প্রতিধ্বনি হিসাবে পুনরায় ট্রান্সডিউসারে ফিরে আসে। পরে এই প্রতিধ্বনিগুলোকে তড়িৎ সংকেতে রূপান্তরিত করা হয়। এই তড়িৎ সংকেতগুলো একত্রে মনিটরের পর্দায় পরীক্ষণীয় – বস্তু বা পেশির একটি প্রতিবিম্ব গঠন করে।

কম্পিউটারের কয়েকটি ব্যবহার লিখ

উদ্দীপকঃ-

রনি কিছুদিন ধরে মাথা ব্যথাসহ বেশ কিছু সমস্যায় ভুগছেন। অবশেষে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার তাকে CT Scan করতে পরামর্শ দিলেন।

ক. CT Scan এর পূর্ণরূপ লেখ?

খ. তেজস্ক্রিয়তা বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

গ. X-ray এর ব্যবহার আলোচনা করো।

ঘ. উপরোক্ত যন্ত্রটির সাথে X-ray এর পার্থক্য আছে কি-না উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

 

প্রশ্নের উত্তরঃ-

ক) CT Scan এর পূর্ণরূপ হলো- Computed Tomography Scan.

 

খ) তেজস্ক্রিয়তার বৈশিষ্ট্যঃ-

i. তেজস্ক্রিয়তার একটি সম্পূর্ণ নিউক্লীয় ঘটনা এবং এর মাধ্যমে একটি মৌল অন্য একটি মৌলে রূপান্তরিত হয়।

ii. সাধারণত যে সকল মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা 82-এর বেশি সে সকল পরমাণু তেজস্ক্রিয় হয়।

iii. তেজস্ক্রিয় পদার্থ সাধারণত আলফা, বিটা ও গামা এই তিন ধরনের রশ্মি নিঃসরণ করে।

 

গ) ১. স্থানচ্যুত হাড়, হাড়ে ফাটল, ভেঙে যাওয়া হাড় ইত্যাদি এক্সরের সাহায্যে খুব সহজেই সনাক্ত করা যায়।

২. মুখমণ্ডলের যে কোনো ধরনের রোগ নির্ণয়ে এক্সরের ব্যবহার অনেক যেমন- দাঁতের গোড়ায় ঘা এবং ক্ষয় নির্ণয়ে এক্সরে ব্যবহৃত হয়।

৩. পেটের এক্সরের সাহায্যে অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা (Intestinal Obstruction) সনাক্ত করা যায়।

৪. এক্সরের সাহায্যে পিত্তথলি ও কিডনির পাথরকে সনাক্ত করা যায়।

 

ঘ) হ্যাঁ, উপরোক্ত যন্ত্র তথা CT Scan এর সাথে X-ray এর পার্থক্য আছে।CT Scan একটি বৃহৎ যন্ত্র যেখানে এক্সরে (X-ray) ব্যবহৃত হয়। এই যন্ত্র ডিজিটাল জ্যামিতিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে কোন বস্তুর অভ্যন্তরের ত্রিমাত্রিক প্রতিবিঘ্ন গঠন করে। এক্ষেত্রে একটি ঘূর্ণন অক্ষের সাপেক্ষে অনেকগুলো দ্বিমাত্রিক প্রতিবিম্ব নেওয়ার পরে এগুলোকে একত্রিত করে ত্রিমাত্রিক প্রতিবিম্ব গঠন করা হয়। অপরদিকে X-ray যন্ত্রে X-ray বীমটি শুধু একবার রোগীর দেহের মধ্যদিয়ে প্রেরণ করা হয়। ফলে X-ray যন্ত্রে প্রাপ্ত প্রতিবিম্ব দ্বিমাত্রিক হয়। ফলে X-ray এর তুলনায় CT Scan এর চিত্র অনেক নিখুঁত ও বিস্তৃত হয়।

 

উদ্দীপকঃ-

রাতুল চঞ্চল প্রকৃতির ছেলে। সে গাছে উঠতে গিয়ে পা পিছলে মাটিতে পড়ে হাতে ব্যথা পেলো। ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে এক বিশেষ ব্যবস্থায় ডাক্তার নিশ্চিত হলেন যে, তার হাড় ভেঙ্গে গেছে।

ক. এক্স-রে রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য কত?

খ. ক্যান্সার নিরাময়ে রেডিওথেরাপির ভূমিকা কী?

গ. ডাক্তার কীভাবে নিশ্চিত হলেন যে রাতুলের হাড় ভেঙ্গে গেছে? বর্ণনা কর।

ঘ. উদ্দীপক অনুযায়ী ডাক্তারের গৃহীত ব্যবস্থায় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে বলে তুমি মনে কর-তা আলোচনা কর।

 

প্রশ্নের উত্তরঃ-

ক) এক্স-রে রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10-10m।

 

খ) রেডিওথেরাপি হলো ক্যান্সারের আরোগ্য বা নিয়ন্ত্রণের একটি কৌশল। এর মূল লক্ষ্য হলো আক্রান্ত কোষের DNA ধ্বংসের মাধ্যমে কোষটিকে ধ্বংস করা। অনেক ক্যান্সার রোগীর এটিই একমাত্র চিকিৎসা।

 

গ) আমরা জানি, এক্স-রে- এর সাহায্যে প্রাপ্ত ফটোগ্রাফ দ্বারা শরীরের কোনো ভাঙ্গা হাড়, ক্ষত বা অবাঞ্চিত বস্তুর উপস্থিতি বোঝা যায়। সুতরাং এক্স-রে করানোর মাধ্যমে ডাক্তার সাহেব নিশ্চিত হলেন রাতুলের হাড় ভেঙ্গে গেছে। নিম্নে পরীক্ষাটির কার্যপ্রণালী বর্ণনা করা হলো- এক্স-রে তে টাংস্টেন কুণ্ডলীর মাঝে উচ্চ বিভবশক্তির তড়িৎ চালনার ফলে কুণ্ডলী গরম হয়ে ইলেকট্রন নির্গত করে। একটি চোঙ দ্বারা ইলেকট্রনের প্রবাহ নির্ধারিত দিকে চালনা করা হয়। চোঙের অপর প্রান্তে আরেকটি ধাতব পাত থাকে যাতে ইলেকট্রন আঘাত করার ফলে তাপ উৎপন্ন হয় এবং কিছু পরিমাণ শক্তি বিকিরিত হয়। এই বিকিরিত রশ্মিই এক্স-রে। এক্সরে মাংসপেশী ও রক্ত ভেদ করে চলে গেলেও হাড় ভেদ করতে পারেনা। ফলে শুড়ের ক্ষয় বা ভাঙ্গা এক্সরের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়।

 

ঘ) ডাক্তার সাহেব এক্স-রে এর মাধ্যমে প্রাপ্ত ফটোগ্রাফ হতে নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, রাহীর হাড় ভেঙ্গে গেছে। এ ব্যবস্থার জন্য নিম্নলিখত সতর্কতাসমূহ অবলম্বন করা যেতে পারেঃ-

i. এক্সরে নেওয়ার সময় রোগীকে সীসা নির্মিত এপ্রোন দ্বারা যথাসম্ভব আচ্ছাদিত করতে হবে।

ii. অতি জরুরী না হলে গর্ভবতী মহিলাদের উদর ও পেলভিক অঞ্চলের এক্স-রে করা উচিত নয়। অন্য কোনো এক্স-রে পরীক্ষা প্রয়োজন হলে সীসা নির্মিত এপ্রোন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

iii. শিশুদের এক্স-রে করানোর ক্ষেত্রে অনেক সর্তক থাকতে হবে।

 

উদ্দীপকঃ-

করিম সাহেব মাথা ব্যথাসহ মস্তিষ্কের সমস্যায় ভুগছেন। ডাক্তার তাকে CT Scan করার পরামর্শ দিলেন।

খ. এক্স-রে এর চারটি ব্যবহার লেখ।

গ. রোগ নির্ণয়ে উদ্দীপকের যন্ত্রটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ডাক্তার করিম সাহেবকে X-ray না করে CT Scan এর পরামর্শ দিলেন কেন? তোমার মতামত লিখ।

 

প্রশ্নের উত্তরঃ-

খ) নিচে এক্স-রের চারটি ব্যবহার উল্লেখ করা হলো-

১. স্থানচ্যুত হাড়, হাড়ে ফাটল, ভেঙে যাওয়া হাড় ইত্যাদি এক্স-রের সাহায্যে খুব সহজেই শনাক্ত করা যায়।

২. মুখমণ্ডলের যেকোনো ধরনের রোগ নির্ণয়ে এক্স-রের ব্যবহার অনেক যেমন- দাঁতের গোড়ায় ঘা এবং ক্ষয় নির্ণয়ে এক্স-রে ব্যবহৃত হয়।

৩. পেটের এক্স-রের সাহায্যে অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করা যায়।৪. এক্স-রের সাহায্যে পিত্তথলি ও কিডনির পাথরকে শনাক্ত করা যায়।

গ) রোগ নির্ণয়ে উদ্দীপকের যন্ত্রটি অর্থাৎ CT Scan এর প্রয়োগ এক্স- রে বা অন্যান্য যন্ত্র অপেক্ষা অনেক বেশি। CT Scan এর সাহায্যে শরীরের নরম টিস্যু, রক্তবাহী শিরা বা ধমনী ফুসফুস, ব্রেন ইত্যাদির ত্রিমাত্রিক ছবি পাওয়া যায় যকৃত, ফুসফুস এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার শনাক্ত করার কাজে CT Scan ব্যবহৃত হয়। CT Scan এর প্রতিবিম্ব চিকিৎসককে টিউমার শনাক্তকরণ, টিউমারের আকার, অবস্থান এবং টিউমারটি পার্শ্ববর্তী অন্য টিস্যুকে কি পরিমাণ আক্রান্ত করেছে তা নির্ধারণেও সাহায্য করে। মাথার CT Scan এর সাহায্যে মস্তিষ্কের ভেতরে কোন ধরনের রক্তপাত ধমনীর ফুলা এবং টিউমারের উপস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়। CT Scan এর দ্বারা রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা আছে কিনা তাও জানা যায়।

 

ঘ) ডাক্তার করিম সাহেবকে X-Ray এর পরিবর্তে CT Scan করার পরামর্শ দিলেন কেননা- X-Ray শরীরের অভ্যন্তরে কোন ত্রিমাত্রিক অঙ্গের দ্বিমাত্রিক প্রতিবিম্ব গঠন করলেও CT Scan যন্ত্র দ্বারা সৃষ্ট প্রতিবিম্ব ত্রিমাত্রিক। CT Scan যন্ত্র ডিজিটাল গানিতিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে কোনো বস্তুর অভ্যন্তরের ত্রিমাত্রিক প্রতিবিম্ব গঠন করে। একটি ঘূর্ণন অক্ষের সাপেক্ষে অনেকগুলো দ্বিমাত্রিক এক্স-রে প্রতিবিম্ব গঠন করা হয়। CT Scan যন্ত্রে পরপর অনেকগুলো সরু বীম রোগীর শরীরের মধ্য দিয়ে প্রেরন করে। অথচ এক্স-রে করার সময় রোগীর দেহে শুধুমাত্র একবার সরু বীম অতিক্রম করে, অর্থাৎ এক্স-রে অতিক্রম করে। ফলে এক্সরের তুলনায় CT Scan যন্ত্রের চিত্র অনেক নিখুঁত। CT Scan যন্ত্রে ব্যবহৃত এক্সরের ডিটেক্টরটির সাহায্যে রোগীর দেহের বিভিন্ন ঘনত্বের শত শত স্তর শনাক্ত করা যায়।

 

উদ্দীপকঃ-

তানভীর সাহেব অর্থের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে নিজের শরীরের দিকে খেয়াল করেন না। মাঝে মাঝে বুকে ব্যাথা করায় তিনি একদিন ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার ইসিজি করার পরামর্শ দেন। রিপোর্টে তেমন কিছু ধরা না পড়ায় এবং তিনি সুস্থ্য না হওয়ায় ভাল ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার ইটিটি করান এবং ধমনীতে ব্লক লক্ষ্য করেন। পরবর্তীতে এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে তানভীর সাহেব সুস্থ্য হন। উক্ত ডাক্তার বর্তমানে তানভীর সাহেবের স্ত্রীকে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহারের মাধ্যমে ক্যান্সারের চিকিৎসা করছেন।

ক. ETT এর পূর্ণরূপ লিখ?

খ. এনজিওগ্রাফিতে ডাই- এর ব্যবহার ব্যাখ্যা কর।

গ. তানভীর সাহেবের ETT করার কারণ বর্ণনা কর

ঘ. তানভীর সাহেবের স্ত্রীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যবহার আলোচনা কর।

উত্তরঃ-

ক) ETT এর পূর্ণ রূপ হলো Exercise Tolerence Test।

 

খ) এনজিওগ্রাম করার সময় চিকিৎসক রোগীর দেহে যে তরল পদার্থ একটি সরু ও নমনীয় নলের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দেন তাকে ‘ডাই’ বলে। নলটিকে ক্যাথেটার বলে। এই ডাই ব্যবহারের ফলে রক্তবাহী নালিকাগুলো এক্সরের সাহায্যে দৃশ্যমান হয়। এই ডাই পরে কিডনী এবং মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।

 

গ) ETT হল Exercise Tolerence Test। সাধারণত বিশ্রামে থাকা অবস্থায় রোগীর দেহের ধমনীতে সৃষ্ট আংশিক অবরুদ্ধ অবস্থা সনাক্ত করা যায়নি বলে তানভির সাহেবকে ETT করার প্রয়োজন হয়েছিল। ETT উদ্দীপিত হত্যন্ত্রের একটি পরীক্ষা। ব্যায়াম বা কার্যকলাপ ETT পরীক্ষার মাধ্যমে রেকর্ড করা হয়।এটি আসলে অনুশীলনরত অবস্থায় রোগীর ইসিজি পরীক্ষা। এই পরীক্ষার সময় হত্যন্ত্রের উপর অনুশীলনের অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা হয়। এ অবস্থায় করোনারী আর্টারী রোগের রোগ নির্ণয় খুব সহজ হয়।

ঘ) বিভিন্ন ভরসংখ্যা বিশিষ্ট একই মৌলের পরমাণুকে ঐ মৌলের আইসোটোপ বলে। মৌলের আইসোটোপসমূহে প্রোটনের সংখ্যা সমান থাকে কিন্তু নিউট্রনের সংখ্যা ও ভরসংখ্যা বিভিন্ন হয়।তানভীর সাহেবের স্ত্রীর ক্যান্সার তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের সাহায্যে শনাক্ত এবং চিকিৎসা করা হয়। কোবাল্ট-60 আইসোটোপ থেকে নির্গত শক্তিশালী গামা রশ্মি ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। রক্তের শ্বেত কণিকার অত্যাধিক বৃদ্ধির ফলে রক্তস্বল্পতা রোগের চিকিৎসায় তেজস্ক্রিয় ফসফরাসের ফসফেট ব্যবহৃত হয়। পরমাণু চিকিৎসায় রোগ নির্ণয়ের জন্য শিরার মধ্য দিয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ দেহে প্রবেশ করান হয়েছিল। সাধারণত কোন অঙ্গের চিকিৎসা করা হবে তার উপর নির্ভর করে তেজস্ক্রিয় পদার্থ নির্বাচন করে ব্যবহার করতে হয়। যেমন টেকনিশিয়াম-99m রোগ নির্ণয়ের জন্যে পরমাণু চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত একটি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ। এটির সাহায্যে ব্রেন, লিভার, প্লীহা এবং হাড়ের ইমেজিং এবং স্ক্যানিং করা হয়। এভাবে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ তানভীর সাহেবের স্ত্রীর ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছে।

ট্রানজিস্টর কীভাবে অ্যামপ্লিফায়ার হিসেবে কাজ করে?