পূর্ব বাংলার আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদের উত্থান অধ্যায়ের প্রশ্ন

Table of Contents

পূর্ব বাংলার আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদের উত্থান অধ্যায়ের প্রশ্ন-

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর-

প্রশ্ন-১. ভাষা আন্দোলন অনিবার্য হয়ে পড়েছিল কেন?

উত্তর: পূর্ব পাকিস্তানের ওপর পাকিস্তান সরকারের উর্দু ভাষাকে চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্তের কারণে ভাষা আন্দোলন অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। পাকিস্তান সরকার পাকিস্তানের শতকরা ৩ ভাগ মানুষের ভাষা উর্দুকে ৫৬ ভাগ মানুষের ভাষা বাংলার ওপর চাপিয়ে দিতে চাইলে পূর্ব বাংলার জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে নানা আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি জানায়। কিন্তু পাকিস্তান সরকার জোরপূর্বক উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চায়। তৎকালীন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন, ‘উর্দু, এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।’ এ পরিস্থিতিতে ভাষা আন্দোলন অনিবার্য হয়ে পড়ে।

প্রশ্ন-২. দ্বি-জাতি তত্ত্ব কী? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: দ্বি-জাতি বলতে দুটি জাতিকে বোঝায়।তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস মুসলিম লীগের প্রতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ করে। কংগ্রেসের এই বৈষম্যমূলক আচরণের প্রেক্ষিতে মুসলিম লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ হিন্দু ও মুসলমান এ দু’জাতির জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনের জন্য যে তত্ত্ব প্রদান করেন তাকেই দ্বি-জাতি তত্ত্ব বলে।

প্রশ্ন-৩. একুশে ফেব্রুয়ারি স্মরণীয় কেন?

উত্তর: ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য বাঙালিকে জীবন উৎসর্গ করতে হয়। এ কারণেই একুশে ফেব্রুয়ারি স্মরণীয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সরকার পাকিস্তানের ৫৬ ভাগ মানুষের ভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে মাত্র ৩ ভাগ মানুষের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত হয়। বাঙালি জাতি এ চক্রান্তের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলনরত অবস্থায় সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা অনেকে শহিদ হন। আর শহিদদের এ আত্মত্যাগের বিনিময়েই বাংলা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তাই এ দিনটি স্মরণীয়।

প্রশ্ন-৪. যুক্তফ্রন্টের বিজয়কে ‘ব্যালট বিপ্লব’ বলে আখ্যায়িত করা হয় কেন?

উত্তর: ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট একচেটিয়া ভোট পেয়ে বিজয় অর্জন করে। এ কারণে এটিকে ‘ব্যালট বিপ্লব’ বলা হয়।প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ৩০৯টি আসনের মধ্যে ২৩৬টি আসনেই বিজয় লাভ করে। আর ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ মাত্র ৯টি আসন লাভ করে। মুসলিম লীগের কুশাসন ও শোষণে জর্জরিত পূর্ব বাংলার জনগণের পুঞ্জীভূত বেদনা ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ ছিল যুক্তফ্রন্টের এ বিশাল বিজয়। এ কারণেই যুক্তফ্রন্টের বিজয়কে ‘ব্যালট বিপ্লব’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।

প্রশ্ন-৫. ‘পাকিস্তানের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পূর্ব পাকিস্তানের ভূমিকা ছিল নগণ্য।’- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: পাকিস্তানের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তনের অংশগ্রহণ ছিল যথাক্রমে দেশরক্ষায় ৮.১% এবং ৯১.৯%; স্বরাষ্ট্রে ২২.৭% এবং ৭৭.৩%; শিক্ষায় ২৭.৩% এবং ৭২.৭%; আইনে ৩৫% এবং ৬৫%।পাঠ্যবইয়ে ১৯৬৬ সালের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পূর্ব পাকিস্তানের যে অংশগ্রহণ, তাতে সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ ছিল আইনের ক্ষেত্রে মাত্র ৩৫%। অন্যদিকে সর্বনিম্ন অংশগ্রহণ দেখা যায় দেশরক্ষায় মাত্র ৮.১%। সুতরাং পাকিস্তানের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পূর্ব পাকিস্তানের ভূমিকা ছিল নগণ্য।

প্রশ্ন-৬. আগরতলা মামলা কী? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার যে মামলা দায়ের করে, তাই আগরতলা মামলা নামে পরিচিত। আগরতলা মামলাটি দায়ের করা হয় ১৯৬৮ সালের জানুয়ারি মাসে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ ছিল- বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলাতে ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের গোপন বৈঠক হয়। সেখানে ভারতের সহায়তায় সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করার পরিকল্পনা করা হয়। এ জন্য মামলাটির নাম দেওয়া হয় আগরতলা মামলা।

প্রশ্ন-৭. আগরতলা মামলা দায়েরের পটভূমি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: ছয় দফাভিত্তিক বাঙালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে নস্যাৎ করার প্রেক্ষাপটে আগরতলা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ছয় দফা দাবি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের শাসন ও শোষণ থেকে বাঙালির মুক্তির সনদ। এ কারণে ছয় দফা দাবি আদায়ে বাঙালি জাতি বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলে। এ পরিস্থিতিতে সরকার কৌশলে বাংলার প্রধান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বাঙালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।

প্রশ্ন-৮. সরকার আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে কেন?

উত্তর: পূর্ব পাকিস্তানের গণমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে সরকার বাধ্য হয়ে আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে।আগরতলা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনসমূহের পরিচালনায় আন্দোলন আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান, ঢাকা সেনানিবাসে সার্জেন্ট জহুরুল হক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা নিহত হন। অবশেষে তীব্র আন্দোলনের মুখে ১৯৬৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়।

প্রশ্ন-৯. পূর্ব বাংলার প্রতি সামাজিক বৈষম্য কেমন ছিল?

উত্তর: অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন পরিকল্পনাগত বৈষম্যের কারণে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সামাজিক বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছিল। অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন পরিকল্পনাগত বৈষম্যের কারণে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সামাজিক বৈষম্যও প্রকট আকার ধারণ করেছিল। সে সময় জনসেবার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানে অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তান কোনো সেবাই পায়নি। এমনকি পশ্চিম পাকিস্তানে ডাক্তারের সংখ্যা ছিল ১২,৪০০ জন এবং পূর্ব পাকিস্তানে ডাক্তারের সংখা ছিল ৭,৬০০ জন।

প্রশ্ন-১০. বঙ্গবন্ধুর ‘দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি’ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেসব প্রগতিশীল উদ্যোগ গ্রহণ করেন, তাই দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি নামে পরিচিত।বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এরপর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন এবং সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে, খাদ্য সংকট সমস্যা সমাধানসহ শোষণহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে তিনি নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করেন, যাকে ‘বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি’ নামে অভিহিত করা হয়।

পূর্ব বাংলার আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদের উত্থান অধ্যায়ের প্রশ্ন

পূর্ব বাংলার আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদের উত্থান অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন-

১. জনাব রহমান একজন জনপ্রিয় আঞ্চলিক নেতা। তিনি জনগণের অধিকার আদায়ে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি শাসকগোষ্ঠীর নিকট তার অঞ্চলের জন্য দাবি করেন ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক পরিচালনার ক্ষমতা, প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক, সর্বজনীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও আইনসভা গঠন, রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা।

ক. ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কত শতাংশ ছিল?

খ. বঙ্গবন্ধুর ‘দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি’ বলতে কী বোঝায়?

গ. জনাব রহমান-এর দাবিনামায় বঙ্গবন্ধুর কোন কর্মসূচির প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘উক্ত দাবিনামা বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল।’ – উক্তিটি মূল্যায়ন কর।

২. অমি তার দাদুর সাথে বসে এমন একটি যুদ্ধের তথ্যচিত্র দেখছিল যার ব্যাপ্তিকাল ছিল ১৭ দিন। এটি ছিল ‘ক’ রাষ্ট্র ও ‘খ’ রাষ্ট্রের মধ্যকার যুদ্ধ। ‘ক’ রাষ্ট্রের একটি অংশ যুদ্ধে লিপ্ত হলেও অপর অংশটি ছিল ভীষণ বিপদের মুখে। এই বিপদের সময় তারা নিজেদের মধ্যে এক ধরনের জাগরণ অনুভব করে এবং অধিকার রক্ষায় সচেতন হয়ে ওঠে।

ক. “ভাষা সংগ্রাম পরিষদ” নতুনভাবে কী নামে গঠিত হয়?

খ. “পাকিস্তানের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পূর্ব পাকিস্তানের ভূমিকা ছিল নগণ্য।”-উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত যুদ্ধের সাথে পাঠ্যপুস্তকের কোন যুদ্ধের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. তুমি কি মনে কর উক্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই ছয় দফার উৎপত্তি? যুক্তিসহ মতামত উপস্থাপন কর।

৩. ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলেও এককভাবেই তারা সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় আসনে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগের এ জনসমর্থন দেখে বিন্টুর বাবা বললেন, পাকিস্তান আমলেও আমাদের এ দলটি একটি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। তবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিশ্বাসঘাতকতায় আমরা তখন সরকার গঠন করতে পারিনি। তবে এ নির্বাচন আমাদের বিজয় ছিনিয়ে আনায় অনুপ্রেরণা দেয়।

ক. বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় কত তারিখে?

খ. ‘অপারেশন ‘সার্চলাইট’ বলতে কী বোঝ?

গ. বিন্টুর বাবা অতীতের কোন নির্বাচনের কথা মনে করলেন? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. তুমি কি মনে কর উদ্দীপকের নির্বাচনের চেয়ে উক্ত নির্বাচন ছিল অধিক তাৎপর্যপূর্ণ? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৪. ২১-এ ফেব্রুয়ারি উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। টিভি রিপোর্টে মতিন সাহেব দেখলেন, দু’জন বিদেশি নাগরিক শহিদ মিনার পরিষ্কার করছে। তারা কেন এ কাজ করছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলল, বাঙালির এমন বীরত্বপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে তারা নিজেদের ধন্য মনে করছে। তারা আরও বলল, বাঙালির একুশ আজ শুধু বাংলাদেশিদের গর্ব নয়, এটি সমগ্র বিশ্বের ভাষার জন্যেই গর্বের দিন।’

ক. খাজা নাজিমুদ্দীন কী ছিলেন?

খ. ভাষা আন্দোলনকে কেন বাঙালিদের মুক্তির প্রথম আন্দোলন বলা হয়?

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত টিভি রিপোর্টে বিদেশি নাগরিকরা বাঙালির কোন বীরত্বগাঁথার কথা মনে করেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিদেশিদের শেষের বক্তব্যটি কি তুমি সমর্থন কর? যুক্তি দেখাও।

৫. শম্পা ও তার বন্ধুরা ফুলের তোড়া ও পুষ্পস্তবক নিয়ে সারিবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্য হচ্ছে, শহিদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্যে স্মৃতিস্তম্ভে তা অর্পণ করা। সকলে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’……. গানটি গাইছে। স্মৃতিস্তম্ভের অদূরে একটি আলোচনা সভা চলছিল। সেখানে একজন বক্তার কণ্ঠ থেকে ভেসে আসছে, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটি’ নিছক একটি গান নয়, এটি একটি চেতনা, আন্দোলনের প্রতীক। এই চেতনাই জন্ম দিয়েছে ছেষট্টির ছয়-দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান।

ক. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জন্যে কতটি আসন নির্ধারিত ছিল?

খ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের কারণ কী?

গ. অনুচ্ছেদে বর্ণিত স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের পটভূমি ব্যাখ্যা কর।

ঘ স্মৃতিস্তম্ভের কাছে যিনি বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তার বক্তব্যের যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

৬. পূর্ব বাংলার জনগণের প্রতি পাকিস্তান রাষ্ট্রের চরম বৈষম্যমূলক আচরণ ও অবহেলার বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম সুস্পষ্ট রূপ লাভ করে ৬ দফার স্বায়ত্তশাসনের দাবিনামায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য ৬ দফা দাবি পেশ করেন। ৬ দফা দাবি বাঙালির জাতীয় চেতনা-মূলে বিস্ফোরণ ঘটায়।

ক. যুক্তফ্রন্ট কত সালে গঠিত হয়?

খ. বাঙালি জাতীয়তাবাদ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।

গ. পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি শিক্ষাক্ষেত্রে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর যে বৈষম্য প্রকাশ পেয়েছিল তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ছয়দফা দাবি ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ তুমি কি এই বক্তব্যের সাথে একমত? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৭. ঐতিহাসিক ছয় দফার ভিত্তিতে একটি নির্বাচনে বাঙালি জাতীয়তাবাদের পক্ষে ভোট প্রদানের মাধ্যমে পূর্ববাংলার জনগণ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করে। এ বাঙালি জাতীয়তাবাদই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনে জনগণকে অনুপ্রাণিত করে।

ক. এ.কে ফজলুল হক কখন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন?

খ. ঐতিহাসিক ৬ দফাকে কেন পূর্ববাংলার মুক্তির সনদ বলা হয়?

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত নির্বাচনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের কোন ঘটনাটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনে জনগণকে অনুপ্রাণিত করে? বিশ্লেষণ কর।

৮. রফিকুল ইসলাম দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ভাষা আন্দোলন নিয়ে একটি প্রতিবেদন পড়ছিলেন। একটি মন্তব্য তার দৃষ্টি কাড়ে। সেখানে লেখা ছিল, ভাষা আন্দোলন পরবর্তীতে স্বাধিকার আন্দোলনে রূপ লাভ করে। রফিকুল ইসলাম মনে করেন ভাষা আন্দোলন ভিত্তি হলেও ছয় দফা আন্দোলনই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে।

ক. জাতীয়তাবোধ কী?

খ. সরকার আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে কেন?

গ. রফিকুল ইসলামের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া পত্রিকায় প্রকাশিত উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছিল কোন আন্দোলন? রফিক সাহেবের চিন্তাধারা বিশ্লেষণ কর।

৯. পাকিস্তান শাসনামলের একটি নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ৩ কোটি ২২ লাখ ভোটার ভোট দেয়। ঐ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন লাভ করে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পক্ষে গণরায় পায়।

ক. “স্মৃতির মিনার” কবিতাটি কে রচনা করেন?

খ. বঙ্গবন্ধুর ‘দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি’ বলতে কী বোঝ?

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত নির্বাচনের বর্ণনা দাও।

ঘ. স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পিছনে উক্ত নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম- তোমার মতামত দাও।

১০. দৃশ্য-১: ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর সূচিত আন্দোলন পরবর্তীতে প্রতিবাদ ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে রূপ লাভ করে।

দৃশ্য-২: পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন সংঘটিত হয়। সকল গণতান্ত্রিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও সাধারণ মানুষ এই আন্দোলনে যুক্ত হয়।

ক. কয়টি দলের সমন্বয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়?

খ. ১৯৭০ সালের নির্বাচনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের ‘দৃশ্য-১’ তোমার পাঠ্যপুস্তকের কোন ঘটনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. তুমি কি মনে কর, ‘দৃশ্য-২’-এর আন্দোলন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

১১. ছোট হোক, বড় হোক যুদ্ধ মানেই ধ্বংস সাধন। ১৭ দিনের এই যুদ্ধেও এর ব্যতিক্রম কিছু ছিল না। এ সময়ে ‘ক’ দেশের একটি প্রদেশ সম্পূর্ণ অরক্ষিত ছিল। এতে সেই প্রদেশের মানুষ, নিজের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সার্বভৌমত্ব ও রাজনৈতিক অধিকার রক্ষার জন্য সব সময় সচেষ্ট হতে থাকে।

ক. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল কোনটি?

খ. মুক্তিযুদ্ধের ঋণ কোনো দিন শেষ হবে না কেন?

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত যুদ্ধের সাথে কোন যুদ্ধের মিল পাওয়া যাচ্ছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. তুমি কি মনে কর উদ্দীপকে যে রাজনৈতিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে সেখান থেকেই ছয় দফার উৎপত্তি? যুক্তিসহনবিশ্লেষণ কর।

১২. বাংলাদেশের রাজনীতির ওপর গবেষণা করতে গিয়ে একটি নিবন্ধ আশিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। নিবন্ধটির শিরোনাম ছিল ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য’। যাতে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর নানা ষড়যন্ত্র বিশদভাবে লিপিবদ্ধ আছে। রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহী।

ক. দ্বি-জাতি তত্ত্ব কে প্রবর্তন করেন?

খ. ‘৫২’-এর ভাষা আন্দোলনের অন্যতম কারণ কী ছিল? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত তথ্য কোন ঘটনাকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘উক্ত ঘটনা বাঙালিকে স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হতে অনুপ্রেরণা যোগায়’- বিশ্লেষণ কর।

১৩. ‘ক’ নামক একটি প্রদেশের জনগণ শাসকচক্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন পরিচালনা করে। একপর্যায়ে আন্দোলন চরমে পৌছালে শাসকবর্গ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। নির্বাচনে উত্ত প্রদেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলটি উভয় পরিষদে ৯৬% এর অধিক গণ রায় পায়। ফলে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রদেশটির অভ্যুদয়ের পিছনে এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ক. বঙ্গবন্ধু কাদের নিকট ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন?

খ. পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্যসমূহ ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত নির্বাচনটির সাথে তোমার পাঠ্যপুস্তকে আলোচিত কোন নির্বাচনের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. পাঠ্যপুস্তকে আলোচিত স্বাধীন রাষ্ট্রটির অভ্যুদয়ে উক্ত নির্বাচনের গুরুত্ব আলোচনা কর।

বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও ব্যাংক ব্যবস্থা অধ্যায়ের প্রশ্ন