ঘনত্ব অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন

ঘনত্ব অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন-

১. তরলে অদ্রবণীয় একটি গোলকের আয়তন 1000 cm³। এটি 1500 kgm 3 ঘনত্বের তরলে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত অবস্থায় ভাসে। গোলকটির উপর 100 cm³ আয়তনের 80 gm ভরের মোমের প্রলেপ দেওয়া হলো।

ক. পুনঃশিলীভবন কাকে বলে?

খ. মাটির কলসিতে পানি রাখলে তা শীতল থাকে কেন?

গ. গোলকটির ভর নির্ণয় কর।

ঘ. প্রলেপ দেয়া গোলকটি উক্ত তরলে ভাসবে নাকি ডুবে যাবে তার গাণিতিক ব্যাখ্যা দাও।

২. 2m দৈর্ঘ্য ও 0.4 mm ব্যাসের একটি ইস্পাতের তারের একপ্রান্ত কোনো দৃঢ় বস্তুর সাথে বেঁধে অপর প্রান্তে 3 kg ভরের একটি বস্তু ঝুলিয়ে দিলে তারটির দৈর্ঘ্য পাওয়া যায় 2.005m। বিশুদ্ধ ইস্পাতের স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্ক 2 × 10″ Nm2

ক. প্লবতা কাকে বলে?

খ. পীড়ন ও চাপের মধ্যে পার্থক্য লিখ।

গ. ইস্পাতের তারটির বিকৃতি নির্ণয় কর।

ঘ. ইস্পাতের তারটি বিশুদ্ধ কিনা তা এর স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্কের মান নির্ণয় করে যাচাই কর।

৩. 1 m ব্যাসবিশিষ্ট একটি সমবৃত্তভূমিক বেলনাকার চৌবাচ্চায় 377 kg তরল রয়েছে। তরলের গভীরতা 60 cm। রফিক 100g ভরের একটি 5 cm ধারবিশিষ্ট নিরেট ঘনক চৌবাচ্চার তরলে ছেড়ে দিল।

ক. প্রবাহী কী?

খ. প্যাসকেলের সূত্রের গাণিতিক ব্যাখ্যা দাও।

গ. উদ্দীপকের তরলটির ঘনত্ব নির্ণয় কর।

ঘ. রফিকের ছেড়ে দেওয়া ঘনকটি তরলে কী অবস্থায় থাকবে? গাণিতিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে মতামত দাও।

৪. 1m দৈর্ঘ্য এবং 5 x 10m ব্যাস বিশিষ্ট একটি ইস্পাতের তারের উপরের প্রান্ত একটি বিন্দুতে আটকিয়ে নিচের প্রান্তে 2kg ভর ঝুললে তারটি বৃদ্ধি পেয়ে 1.02 m হয়। বিশুদ্ধ ইস্পাতের স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্ক 2 × 10″Nm².

ক. স্থিতিস্থাপক সীমা কাকে বলে।

খ. স্থিতিস্থাপকতা ব্যাখ্যা কর।

গ. ইস্পাতের তারটির উপর কার্যরত পীড়নের মান বের কর।

ঘ. তারটির স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্কের মান বের করে তুলনা কর যে তারটি বিশুদ্ধ ইস্পাতের কিনা।

৫. A ও B দুটি ভিন্ন ঘনত্বের বস্তু।

ক. বস্তুর ঘনত্ব পানির ঘনত্বের সমান হলে কী হবে?

খ. প্যাসকেল বলতে কী বোঝ?

গ. A বস্তুর উপরের পৃষ্ঠের কোন বিন্দুতে চাপের মান নির্ণয় কর।

ঘ. চিত্রে প্রদর্শিত A ও B বন্ধুদ্বয়ের মধ্যে কোনটির আয়তন বেশি, গাণিতিক যুক্তিসহ ব্যাখ্যা কর।

৬. 20g ভরের একখণ্ড শুকনো কাঠকে 70g ভরের ১টি ধাতব পদার্থের সাথে বেঁধে 0.970g/cm³ ঘনত্বের ১টি তরলের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হলো। শুকনো কাঠের এবং ধাতব পদার্থের ঘনত্ব যথাক্রমে 0.27g/cm³ এবং 10.7g/cm³.

ক. প্লাজমা টর্চ কী কাজে ব্যবহৃত হয়?

খ. কোনো বস্তুর পীড়ন 10′ Nm³ বলতে কী বুঝায়?

গ. শুধুমাত্র ঐ শুকনো কাঠকে উক্ত তরলে ছেড়ে দিলে কতটুকু ঐ তরলে নিমজ্জিত থাকবে?

ঘ. শুকনো কাঠ বাঁধা অবস্থায় ধাতব পদার্থটি ঐ তরলে ভাসবে, না ডুববে?- গাণিতিকভাবে বিশ্লেষণ কর।

৭. বল বৃদ্ধিকরণ নীতির পরীক্ষায় চিত্রে ছোট পিস্টনের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল 0.01m² এবং বড় পিস্টনের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল 1m²। 1000kg ভরের বস্তুকে উপরে তোলার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।

X ↑ X2, A2 A ↑

ক. ঘনত্ব কী?

খ. টরিসেলির শূন্যস্থান বলতে কী বোঝায়?

গ. যন্ত্রটিকে সাম্য অবস্থায় রাখতে ছোট পিস্টনের উপর কত kg ভর চাপাতে হবে?

ঘ. “উদ্দীপকের যন্ত্রটিতে কাজ অপরিবর্তিত থাকে।”-উক্তিটির তাৎপর্য গাণিতিকভাবে বিশ্লেষণ কর।

৮. 0.26 আপেক্ষিক গুরুত্ব বিশিষ্ট বস্তুকে একটি পাথরের টুকরার সাথে বেঁধে পানিতে ছেড়ে দেওয়া হলো। পাথরের টুকরাটির উপাদানের আপেক্ষিক গুরুত্ব 11.55 এবং পানিতে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত অবস্থায় ওজন 4.65N।

ক. আপেক্ষিক গুরুত্ব কী?

খ. পানির ব্যতিক্রমধর্মী প্রসারণ বলতে কী বোঝায়?

গ. উদ্দীপকের বস্তুটির আয়তন 50cm’ হলে বাতাসে বস্তুর ওজন নির্ণয় কর।

ঘ. বস্তু ও পাথর একসঙ্গে বাঁধা অবস্থায় বস্তুটি ভাসবে না ডুবার কারণ গাণিতিকভাবে বিশ্লেষণ কর।

ঘনত্ব অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন

জীবন বাঁচতে বিজ্ঞান অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন-

১. মিসেস রেহেনা বেগম একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। তিনি কিছুদিন ধরে মাথা ব্যাথাসহ বেশ কিছু সমস্যায় ভুগছেন। ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার তাকে CT Scan করার পরামর্শ দিলেন।

ক. এন্ডোস্কোপিতে কোন আলোকীয় ঘটনা ব্যবহৃত হয়?

খ. কী কী কারণে এনজিওগ্রাফি করতে হয়, ব্যাখ্যা কর।

গ. X-ray এর ব্যবহার আলোচনা কর।

ঘ. উপরোক্ত যন্ত্রটির সাথে X-ray এর পার্থক্য আছে কিনা উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

২.

ক. পরিমাপের একক কাকে বলে?

খ. এনালগ ও ডিজিটাল সংকেতের তুলনামূলক আলোচনা কর।

গ. এক্সরে টিউবে 30,000V বিভব পার্থক্য প্রয়োগ করলে প্রতিটি ইলেকট্রন কি পরিমাণ গতি শক্তি অর্জন করবে? ৩

ঘ. রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিত্রের ব্যবস্থাটি ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।

৩. দেবাশীষ সাহেবের মা কিছু দিন যাবৎ যমুনা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে নিয়মিত ইটিটি করানোর কারণে তিনি মোটামুটি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।

ক. ECG এর পূর্ণরূপ লিখ।

খ. ইসিজিতে ইলেকট্রোডের ব্যবহার ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত পরীক্ষা করার জন্য কী করতে হয় ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উল্লেখিত পরীক্ষাটি সম্পর্কে যা জান সংক্ষেপে লিখ।

৪. আধুনিক চিকিৎসায় MRI একটি ব্যথাবিহীন ও নিরাপদ রোগ নির্ণয় পদ্ধতি। অপর দিকে ইসিজি ও ইটিটির সাহায্যে কোনো ব্যক্তির হৃদপিন্ডের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা যায়।

ক. MRI এর পূর্ণরূপ লিখ।

খ. আলট্রাসনোগ্রাফি কী? ব্যাখ্যা কর।

গ. MRI কীভাবে কাজ করে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের শেষোক্ত পদ্ধতিতে কীভাবে হার্টের রোগ নির্ণয়ে ব্যবহার করা হয় ব্যাখ্যা কর।

৫. বর্তমান জীবন যন্ত্রনির্ভর জীবন। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে আমরা মোবাইল, ফ্রিজ, টেলিভিশন এবং বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করি। মানবদেহকে অনেকে যন্ত্র বলে অভিহিত করে থাকেন। যন্ত্রের মতো অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ বা অঙ্গ নিয়ে গঠিত হলেও মানবদেহ আসলে যন্ত্র নয়। যদিও যন্ত্রের যে কোনো অংশ নষ্ট হলে যেমনি মেরামত করতে হয় তেমনি মানবদেহের কোনো অঙ্গের সুস্থ্যতায় এক্স-রের মত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

ক. এক্স-রে কাকে বলে?

খ. রোগ নির্ণয়ে চিকিৎসা যন্ত্রপাতির ব্যবহার অপরিহার্য-ব্যাখ্যা কর।

গ. মানবদেহের সুস্থ্যতায় উদ্দীপকে বর্ণিত প্রযুক্তির অবদান অপরিসীম উদ্দীপকের আলোকে আলোচনা কর। ৩

ঘ. মানবদেহকে যন্ত্রের সাথে তুলনা করার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য উদ্দীপকের আলোকে আলোচনা কর।

৬. আধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রপাতির মধ্যে এমআরআই এবং ইসিজি দুটি উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি। এমআরআই হলো ব্যাথাহীন এবং নিরাপদ রোগ নির্ণয় পদ্ধতি। এই যন্ত্রে এক্সরে বা অন্য কোন বিকিরণ ব্যবহার করা হয় না। অন্যদিকে ইসিজি হলো এমন একটি রোগ নির্ণয় পদ্ধতি যার সাহায্যে নিয়মিতভাবে কোনো ব্যক্তির হৃৎপিণ্ডের বৈদ্যুতিক এবং পেশিজনিত কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হয়।

ক. এমআরআই কী?

খ. ইসিজি বলতে কী বুঝ- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে- বর্ণনা দাও।

ঘ. উদ্দীপকের শেষোক্ত পদ্ধতিটি হার্টের কী কী রোগ নির্ণয়ে এবং কীভাবে ব্যবহার করা হয়? আলোচনা কর।

৭. আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রয়োজনে নানা রকম যন্ত্র ব্যবহার করে থাকি। এসব যন্ত্র বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে গঠিত। আমাদের মানবদেহেও অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঙ্গ বা যন্ত্রের সমন্বয়ে গঠিত। এরকম অসংখ্য ছোট ছোট যন্ত্রের কাজের সমন্বয়ের ফলে সম্পূর্ণ মানবদেহ সচল থাকে বলে মানবদহে মানবসৃষ্ট সবচেয়ে জটিল যন্ত্রের সমতুল্য। আবার অনেক দিক দিয়ে মানবদেহ মানবসৃষ্ট জটিলতম যন্ত্রের চেয়েও বিস্ময়কর।

ক . রেডিওথেরাপি কী?

খ. অভ্যন্তরীণ রেডিওথেরাপি ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের আলোকে মানবদেহ কীভাবে মানবসৃষ্ট সবচেয়ে জটিল যন্ত্র তা আলোচনা কর।

ঘ. উদ্দীপকের শেষ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

৮. নিচের তথ্যসমূহ হতে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

পরীক্ষার নামঃ- ক- গামা রশ্মির ধর্ম

খ- আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন

গ- শব্দের প্রতিধ্বনি।

ক. ETT-এর পূর্ণরূপ লিখ।

খ. রেডিওথেরাপিতে কিভাবে DNA ধ্বংস হয়?

গ. খ ও গ পরীক্ষাটি কেন করানো হয় বর্ণনা করো।

ঘ. ধাতব বোতাম যুক্ত শার্ট পরে ক পরীক্ষাটি করালে কী হতে পারে? মতামত দাও।

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর-

প্রশ্ন- চিকিৎসাক্ষেত্রে রেডিওথেরাপি কেন ব্যবহার করা হয়?

উত্তর : রেডিওথেরাপি ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগ যেমন- ক্যান্সার, থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক প্রকৃতি, রক্তের কিছু ব্যাধির চিকিৎসা করা হয়। সাধারণত রেডিওথেরাপি উচ্চশক্তি সম্পন্ন এক্স-রে ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। এটি টিউমার কোষের অভ্যন্তরস্থ ডিএনএ-কে ধ্বংসের মাধ্যমে কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি করার ক্ষমতা বিনষ্ট করে ফেলে। এ সকল উদ্দেশ্যে চিকিৎসাক্ষেত্রে রেডিওথেরাপি ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন- ইটিটি এক ধরনের ইসিজি পরীক্ষা – বর্ণনা কর।

উত্তর: Exercise Tolerance Test এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ETT বা ইটিটি। উদ্দীপিত হত্যন্ত্রের একটি পরীক্ষা হলো ইটিটি। ব্যায়াম বা অনুশীলন চলাকালীন হৃৎপিণ্ডের বৈদ্যুতিক সক্রিয়তা বা কার্যকলাপ (স্পন্দনের হার, ছন্দময়তা) ইটিটি পরীক্ষার মাধ্যমে রেকর্ড করা হয়। ইটিটি পরীক্ষার সময় রোগীকে একটি স্থির বাইসাইকেল চালাতে বলা হয় অথবা একটি ট্রেডমিল যন্ত্রে অনবরত হাঁটার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অনুশীলন চলা অবস্থায় চিকিৎসক রোগীর ইসিজি রেকর্ড করেন। পরীক্ষার সময় চাকার ঘূর্ণন দ্রুতি এবং তলের ঢাল উপযোজনের মাধ্যমে যান্ত্রিক পীড়নের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি করা হয়। ইটিটি পরীক্ষার মাধ্যমে অনুশীলনের সময় রোগীর হত্যন্ত্রে যে সকল পরিবর্তন সংঘটিত হয় চিকিৎসক সেগুলো সনাক্ত করতে সক্ষম হন। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, ইটিটি এক ধরনের ইসিজি পরীক্ষা।

প্রশ্ন- কোন কোন ক্ষেত্রে এনজিওগ্রাম করা হয়?

উত্তর: যে সকল ক্ষেত্রে এনজিওগ্রাম করা হয়, সেগুলো হলো-

i. হৃৎপিণ্ডের বাহিরে ধমনীতে ব্লকেজ হলে,

ii. ধমনী প্রসারিত হলে,

iii. কিডনির ধমনীর অবস্থা বুঝার জন্য,

iv. শিরার কোনো সমস্যা হলে।

 প্রশ্ন- আইসোটোপ কী? চিকিৎসাক্ষেত্রে এটি কী কাজে লাগে?

উত্তর : আইসোটোপগুলো হলো একটি নির্দিষ্ট মৌলের রূপভেদ। বিভিন্ন ভর সংখ্যা বিশিষ্ট একই মৌলের পরমাণুকে ঐ মৌলের আইসোটোপ বলে। অর্থাৎ কোনো মৌলের আইসোটোপসমূহে প্রোটনের সংখ্যা সমান থাকে, কিন্তু নিউট্রনের সংখ্যা বিভিন্ন হয়।চিকিৎসাক্ষেত্রে ‘পরমাণু চিকিৎসায়’ তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের প্রধানত দু’ধরনের ব্যবহার আছে, রোগ নির্ণয়ে এবং নিরাময়ে। রোগীর শরীরে কোনো স্থানে বা অঙ্গে ক্ষতিকর ক্যান্সার টিউমারের উপস্থিতি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের সাহায্যে সনাক্ত করা যায়। কোবাল্ট 60(Co) আইসোটোপ থেকে নির্গত শক্তিশালী গামা রশ্মি ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কোবাল্ট-60 থেকে নির্গত গামা রশ্মির সাহায্যে অপারেশনের যন্ত্রপাতি রোগ জীবাণুমুক্ত করা হয়।থাইরয়েড গ্রন্থি বা গ্ল্যান্ডের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিজনিত রোগের চিকিঃসায় আয়োডিন-131(1311) ব্যবহৃত হয়। টেকনিশিয়াম-99 রোগ নির্ণয়ের জন্য পরমাণু চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত একটি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ। এটির সাহায্যে ব্রেন, লিভার, প্লীহা এবং হাড়ের ইমেজিং বা স্ক্যানিং সম্পন্ন করা হয়। রক্তের শ্বেত কণিকার অত্যধিক বৃদ্ধির ফলে রক্তস্বল্পতা রোগের চিকিৎসায় তেজস্ক্রিয় ফসফরাস-32(2P) এর ফসফেট ব্যবহৃত হয়। প্রমাণু চিকিৎসায় রোগ নির্ণয়ের জন্য শিরার মধ্য দিয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ রোগীর দেহে প্রবেশ করানো হয়।

সুলতান রাজিয়া কে ছিলেন?