আহ্বান গল্পের পাঠ বিশ্লেষণ

Table of Contents

আহ্বান গল্পের পাঠ বিশ্লেষণ-

“পৈতৃক বাড়ি যা ছিল ভেঙেচুরে ভিটিতে জঙ্গল গজিয়েছে।”

ছেলেবেলায় লেখক তাঁর পৈতৃক বাড়ির যে অবস্থা দেখেছেন তার সঙ্গে বর্তমানের কোনো মিল নেই। কোনো বসতবাড়িতে মানুষ বসবাস করলে তা যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীর্ণতামুক্ত থাকে, সেখানে বসবাস না করলে তা আবার আগাছা-জঙ্গলে পরিপূর্ণ ও জীর্ণ হয়ে পড়ে। ঝড়ে, বৃষ্টিতে ঘর-বাড়ি ভেঙে যায়। মেরামত না করার ফলে দেয়াল ধসে পড়ে। আলোচ্য উক্তিটির মাধ্যমে লেখক তাঁর বাড়ির সেই অবস্থাটি তুলে ধরতে চেয়েছেন।

“গোলাপোরা ধান, গোয়ালপোরা গরু।”

বহু দিন পরে লেখক গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সেখানে এক বুড়ির সঙ্গে পরিচিত হন। বুড়ি জীর্ণ-শীর্ণ দেহের অধিকারিনী, সব দিন ঠিকমতো খেতে পায় না। তার পাতানো এক মেয়ে অন্যের বাড়ি বাড়ি কাজ করে যা আয় করে তা থেকে তাকে সাহায্য করে। কিন্তু বুড়ির অবস্থা আগে এমন ছিল না- স্বামী জমির করাতি যখন জীবিত ছিল, তখন তার গোলাভরা ধান ছিল, গোয়ালভরা গরু ছিল।

“আমার তো তেনার নাম করতে নেই বাবা।”

আগের দিনে গ্রামীণ সমাজব্যবস্থায় নানা রকম রীতি-সংস্কার প্রচলিত ছিল। স্বামীর নাম স্ত্রীর মুখে না আনা তেমনই এক গ্রামীণ সংস্কার। ‘আহ্বান’ গল্পের বুড়ি সেই সংস্কার মেনে চলত। তাই তার পরিচয় জানতে চাইলে লেখকের কাছে সে তার স্বামীর নাম না বলে আলোচ্য উত্তিটি করেছে। এতে একদিকে সমাজের কুসংস্কারে বিশ্বাস অন্যদিকে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে।

“আমার কি মরণ আছে রে বাবা!”

লেখক কুশলাদি জিজ্ঞাসা করায় বুড়ি তাকে আক্ষেপ করে এ কথা বলেছিল। কারণ এ জগতে বুড়ির আপন বলতে কেউ নেই। এক নাতজামাই আছে যে তার খোঁজখবর নেয় না। এক পাতানো মেয়ের কাছে সে থাকে। ঠিকমতো খেতে পায় না। তার জীবন-যন্ত্রণা কেবল মৃত্যুর মধ্য দিয়েই শেষ হতে পারে।এ কারণে সে আক্ষেপ করে লেখককে আলোচ্য উক্তিটি করেছে বুড়ি একটু ঘাবড়ে গেল।

” ভয়ে ভয়ে বলে, কেন বাবা, পয়সা কেন?”

লেখককে বুড়ি তার স্নেহের বাঁধনে বেঁধে নেয়। সে লেখককে মাতৃস্নেহে ‘গোপাল’ বলে ডাকে। একদিন সকালবেলা বুড়ি দুধ নিয়ে গেলে লেখক তার কারণ জানতে চান এবং বুড়িকে কত টাকা দিতে হবে তা জিজ্ঞাসা করেন।বুড়ি লেখকের এরূপ আচরণে প্রথমে ঘাবড়ে যায়। পরে সে লেখকের প্রতি স্নেহের দাবিতে ঐ দুধের জন্য পয়সা কেন নিতে হবে সেই প্রসঙ্গে ঐ কথাটি বলে।

“সেবার বুড়ির বাড়িতে আমার যাওয়া ঘটে উঠল না।”

গল্পের লেখককে বুড়ি সন্তানের মতো স্নেহ করত। সেই স্নেহের দাবিতেই বুড়ি লেখককে তার বাড়িতে যেতে বলেছিল। কিন্তু লেখক নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় বৃদ্ধার বাড়িতে যেতে পারেননি। কিছু না কিছু আনবেই। কখনো পাকা আম, কখনো পাতি লেবু, কখনো বা একছড়া কাঁচকলা কি এক ফালি কুমড়ো। ‘আহ্বান’ গল্পের বুড়ি লেখককে সন্তানের মতো স্নেহ-মমতায় সিক্ত করতে চাইত। তাই সে স্নেহের দাবিতে লেখকের জন্য নানা কিছু নিয়ে আসে। লেখক অন্য ধর্মের লোক হলেও বুড়ির কাছে তিনি ছিলেন সন্তানতুল্য। তাই তাঁর জন্য বুড়ির এত দরদ। তেনার বড্ড অসুখ। এবার বোধহয় বাঁচবে না।

ছয় মাস পরে লেখক গ্রামে গেলে সেখানে বুড়ির পাতানো মেয়ে হাজরা ব্যাটার বউ তাকে খবর দেয় যে, বুড়ি খুব অসুস্থ, হয়তো আর বাঁচবে না। লেখককে সে দেখতে চায়। “ওর স্নেহাতুর আত্মা বহু দূর থেকে আমায় আহ্বান করে এনেছে।” বুড়ি তার গোপালকে প্রাণভরে ভালোবাসত, স্নেহ করত। তাই অকপটে তার কাছে কাফনের কাপড় চেয়েছিল। গত রাতে বুড়ির মৃত্যু হয়েছে। লেখক দূর থেকে তার গ্রামে গিয়েই সেকথা শুনলেন। তাঁর মনে হলো বুড়ির একান্ত আহ্বানেই তিনি গ্রামে ফিরে এসেছেন।

“দ্যাও বাবা- তুমি দ্যাও।”

দুজন জোয়ান ছেলে বুড়ির কবর খুঁড়ছে। কবর দেওয়ার পর সকলে এক এক কোদাল মাটি দিল কবরের উপর। তখন শুকুর মিয়া লেখককে বুড়ির কবরের উপর এক কোদাল মাটি দিতে বললেন দিলাম এক কোদাল মাটি।মুসলিম রীতি অনুসারে মানুষ মারা গেলে তাকে কবর দেওয়া হয়। লেখককে বুড়ি যে স্নেহের বাঁধনে বেঁধেছিলেন তাতে ধর্মের ভেদ ছিল না। লেখকের গ্রামের মানুষরা পর্যন্ত ভুলে গিয়েছিল লেখকের ধর্ম-বর্ণের কথা। শুকুর মিঞা যখন লেখককে বুড়ির কবরে মাটি দিতে বলল- তখন তিনিও এক কোদাল মাটি কবরে দিলেন। এখানে লেখকের অসাম্প্রদায়িক চেতনাটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

আহ্বান গল্পের পাঠ বিশ্লেষণ

প্রশ্ন-

উদ্দীপকের বিষয়: সন্তানের জন্য মায়ের আকুলতা-এর আলোকে প্রণীত।

“কুমড়ো ফুলে-ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা, সজনে ডাঁটায় ভরে গেছে গাছটা আর আমি ডালের বড়ি শুকিয়ে রেখেছি। খোকা তুই কবে আসবি? কবে ছুটি?” [তথ্যসূত্র: মাগো ওরা বলে- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ। ]

ক. ‘আহ্বান’ গল্পের বুড়ির স্বামী কে

খ. “ব্যাপারটা এখানেই চুকে যাবে ভেবেছিলাম”- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের মায়ের সাথে ‘আহ্বান’ গল্পের কার সাদৃশ্য রয়েছে।- নিরূপণ কর।

ঘ. উদ্দীপকের মায়ের আকুলতা ‘আহ্বান’ গল্পের বুড়ি চরিত্রের অপেক্ষারই প্রতিফলন।”- মন্তব্যটি যাচাই কর।

 

প্রশ্নের উত্তর-

ক• বুড়ির স্বামী জমির করাতি।

খ• নিঃস্ব বৃদ্ধ মহিলাকে সাহায্য করার পর গল্পকথক ভেবেছিলেন ব্যাপারটা সেখানেই শেষ হয়ে যাবে।গল্পকথক অনেক দিন পরে গ্রামে যান। পুরনো লোকজনের সাথে দেখা করার পরে তিনি বাজারের দিকে যাওয়ার পথে এক বৃদ্ধ মহিলার দেখা পান। তার সাথে কথা বলে গল্পকথক জানতে পারেন বৃদ্ধার এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই। এক নাতজামাই আছে, কিন্তু সে তাকে দেখে না। শুনে গল্পকথক তাকে কিছু টাকা বের করে দেন। গল্পকথক ভেবেছিলেন বিষয়টা হয়তো সেখানেই শেষ হবে, কিন্তু তা হয় না। পরের দিন বৃদ্ধা গল্পকথকের বাড়িতে হাজির হয় এবং পরবর্তীতে নিয়মিত তাঁর খোঁজ নিতে থাকে, তাঁকে মা-মাসির মতো ভালোবাসতে থাকে। বৃদ্ধাকে সাহায্য করার পর সে তা মনে রাখবে, এটি গল্পকথক আশা করেননি, তাই এমন উক্তি করেছেন।সারকথা: বৃদ্ধার ভালোবাসা প্রসঙ্গে গল্পকথক এমন কথা বলেছেন।

 

গ• উদ্দীপকের মায়ের সাথে ‘আহ্বান’ গল্পের বুড়ি চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে।

মানুষের প্রতি মানুষের ক্ষণিকের ভালোবাসা ও স্নেহ কখনো কখনো অনেক অনেক স্মৃতি ও আবেগের জন্ম দেয়। প্রতিনিয়ত সেই ভালোবাসা ও স্নেহ আরও বৃদ্ধি পায়, কখনো শেষ হয়ে যায় না। ক্ষণিকের পরিচয়েই পরিণত হয় আজন্মের সম্পর্ক।উদ্দীপকে মা কুমড়ো ফুল, সজনে ডাঁটা এবং ডালের বড়ি শুকিয়ে রেখে তাঁর ছেলের জন্য অপেক্ষা করছেন। মায়ের এই অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হতেই চায় না। মা ছেলের পথ চেয়ে অপেক্ষা করেন আর ভাবেন কবে হবে খোকার ছুটি। ‘আহ্বান’ গল্পের বৃদ্ধাও গল্পকথককে অনেক ভালোবাসে এবং গল্পকথক গ্রামে গেলেই তাঁর জন্য বিভিন্ন খাবার নিয়ে আসে। বুড়ি তার গোপালের জন্য অপেক্ষা করে কবে তিনি গ্রামে আসবেন। এমনকি গল্পকথকের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে মৃত্যুবরণ করে। উদ্দীপকে মা স্নেহের ভাণ্ডার নিয়ে সন্তানের জন্য অপেক্ষা করেছেন আর গল্পে বৃদ্ধা গল্পকথকের জন্য অপেক্ষা করেছে মাতৃতুল্য স্নেহ নিয়ে। তাই বলা যায়, স্নেহ-মমতার দিক থেকে উদ্দীপকের মায়ের সাথে গল্পের বুড়ি চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে।সারকথা: উদ্দীপকে মা সন্তানের জন্য অপেক্ষা করেন। আর গল্পের বৃদ্ধা তার সন্তানসম গোপালের জন্য অপেক্ষা করে।

 

ঘ• “উদ্দীপকের মায়ের আকুলতা ‘আহ্বান’ গল্পের বুড়ি চরিত্রের অপেক্ষারই প্রতিফলন।”- মন্তব্যটি যথার্থ।পৃথিবীতে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা চারপাশকে সুন্দর করে তুলেছে। মানবপ্রেম যেদিন হারিয়ে যাবে, সেদিন হয়তো আর পৃথিবীতে মানুষের বাঁচার কোনো আশাই থাকবে না। তাই পৃথিবীকে সুন্দর করে তুলতে এবং মানুষের সাথে মানুষের সেহান্দাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে মানবপ্রেমের বিকল্প নেই।উদ্দীপকে মা তাঁর ছেলেকে নানান ধরনের খাবার তৈরি করে খাওয়ানোর জন্য অপেক্ষা করছেন। আসলে খাবারের মাঝে মিশে আছে মায়ের মমতা, আদর, স্নেহ ও ভালোবাসা। মা তাঁর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা নিয়ে আকুল হৃদয়ে ছেলের জন্য অপেক্ষা করছেন। ‘আহবান’ গল্পের বৃদ্ধা গল্পকথককে অত্যন্ত ভালোবাসে। গল্পকথক গ্রামে গেলে তাঁর জন্য নানান খাবার সাথে নিয়ে হাজির হয় তাঁর বাড়িতে। বৃদ্ধা গল্পকথকের মা না হলেও তার আদর ও স্নেহে ছিল মায়ের ভালোবাসার ছোঁয়া। তার হৃদয়জুড়ে ছিল গল্পকথকের জন্য মায়ের মমতা। আর সেই জন্যই বৃদ্ধা মারা যাওয়ার আগেও অধীর হয়ে পথ চেয়ে থেকেছে তার গোপালের জন্য।উদ্দীপকে মা ছেলের পথ চেয়ে থেকেছেন ব্যাকুল হৃদয়ে আর গল্পে বৃদ্ধা গল্পকথকের জন্য অপেক্ষা করে মৃত্যুর প্রহর গুনেছে। উদ্দীপকে মায়ের অপেক্ষার মধ্য দিয়ে স্নেহের প্রকাশ পেয়েছে, অন্যদিকে আলোচ্য গল্পের বৃদ্ধা গল্পকথকের মা না হলেও তার মাঝে গল্পকথকের জন্য মাতৃস্নেহের কমতি ছিল না। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের মায়ের আকুলতা ‘আহ্বান’ গল্পের বুড়ি চরিত্রের অপেক্ষারই প্রতিফলন। সুতরাং মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা- উদ্দীপক ও ‘আহবান’ গল্প উভয় ক্ষেত্রেই মাতৃস্নেহের হাহাকার ফুটে উঠেছে। তাই “উদ্দীপকের মায়ের আকুলতা ‘আহ্বান’ গল্পের প্রতিফলন” মন্তব্যটি যথার্থ।

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর-

 

প্রশ্ন- গ্রামের চক্কোত্তি মশায় লেখককে খড়-বাঁশ দিতে চাইলেন কেন?

উত্তর: ভেঙেচুরে জঙ্গল গজিয়ে যাওয়া পৈতৃক ভিটেতে ঘর তুলতে গ্রামের চক্কোত্তি মশায় লেখককে খড়-বাঁশ দিতে চাইলেন।লেখকের গ্রামের চক্কোত্তি মশায় তার বাবার পুরনো বন্ধু। লেখক যখন তাঁর সামান্য মাইনের কথা বলে ঘর তুলতে দ্বিধাগ্রস্ত, চক্কোত্তি মশায় তখন তাঁকে বাঁশ-খড় দিয়ে একটা চালাঘর তুলে ফেলতে উৎসাহ দিলেন।

 

প্রশ্ন- কলকাতাতে কেন ক’মাসের মধ্যে লেখকের একবারও বুড়িকে মনে পড়েনি?

উত্তর: কলকাতাতে কর্মব্যস্ততায় ক’মাসের মধ্যে লেখকের একবারও বুড়িকে মনে পড়েনি।লেখক ছুটিতে একবার গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে ঘটনাক্রমে এক বুড়ির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ছুটি শেষে লেখক কর্মস্থল কলকাতায় এসে বেশ ক’মাস কাটান। সেখানে লেখকের কর্মব্যস্ততার কারণে একটিবারের জন্যও গাঁয়ের বুড়িকে মনে পড়েনি।

প্রশ্ন- কাঁঠালতলায় বুড়ি নিজের মনে বকাবকি করে কেন?

উত্তর : কাঁঠালতলায় বুড়ির নিজের মনে বকাবকির কারণ- লেখকের খুড়োমশায়ের আভিজাত্যের দাম্ভিকতায়।বুড়িকে সাহায্য করার পর থেকে বুড়ি লেখকের প্রতি স্নেহকাতর হয়। বুড়ি প্রতিদিন লেখকের কাছে এসে আপনজনের মতো খোঁজখবর নেয়। একদিন লেখকের খুড়োমশায় বুড়িকে লেখকের আভিজাত্যের পরিচয় জানিয়ে দুর্ব্যবহার করে, তখন তার মন খারাপ হয়। তাই বুড়ি নিজের মনেই কিছুক্ষণ বকে চলে যায়।

প্রশ্ন- হাজরা ব্যাটার বউ লেখককে দেখে মাথার কাপড়টা আর একটু টেনে দেবার চেষ্টা করে কেন?

উত্তর: সম্ভ্রম বজায় রাখতে হাজরা ব্যাটার বউ লেখককে দেখে মাথার কাপড় আর একটু টেনে দেওয়ার চেষ্টা করে।গ্রামীণ সংস্কারকে রক্ষা করতে গিয়েই হাজরা ব্যাটার বউ মাথার কাপড় টানে। গ্রামীণ সংস্কার অনুযায়ী স্বামী ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের সামনে মেয়েরা পর্দা বজায় রাখে। তাই মাথার কাপড় টেনে বুড়ির অনুরোধে সে লেখকের বাড়িতে বুড়ির অসুস্থতার খবর দিতে আসে।

প্রশ্ন- বুড়িকে কোথায় কবর দেওয়া হয়?

উত্তর: বুড়িকে মৃত্যুর পর তার গ্রামেই কবর দেওয়া হয়।বুড়ির আদরের গোপাল অর্থাৎ লেখক অপ্রত্যাশিতভাবে বুড়ির মৃত্যুর পরদিন গ্রামে যান। সেখানে তিনি বুড়ির চাওয়া অনুযায়ী কাফনের কাপড়ের ব্যবস্থা করেন। শরতের কটূতিক্ত গন্ধ ওঠা বনঝোপ ও মাকাল-লতা দোলানো একটা প্রাচীন গাছের তলায় বুড়িকে কবর দেওয়া হয়।

পূর্ব বাংলার আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদের উত্থান অধ্যায়ের প্রশ্ন