বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর-

উদ্দীপকের বিষয়ঃ-জাত-ধর্মের দোহাই দিয়ে স্বার্থসিদ্ধি করা-এর আলোকে প্রণীত।

উদ্দীপকঃ-

সৌদামিনী মালো স্বামীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে ধানী জমি, বসতবাড়ি, পুকুরসহ কয়েক একর সম্পত্তির মালিক হয়। এই সম্পত্তির ওপর নজর পড়ে সৌদামিনীর জ্ঞাতি দেওর মনোরঞ্জনের। সৌদামিনীর সম্পত্তি দখলের জন্য সে নানা কৌশল অবলম্বন করে। একবার সৌদামিনী দুর্ভিক্ষের সময় ধানখেতের পাশে একটি মানবশিশু খুঁজে পায়। অসহায়, অসুস্থ শিশুটিকে সে তুলে এনে পরম যত্নে আপন সন্তানের মতো লালনপালন করে। মনোরঞ্জন সৌদামিনীকে সমাজচ্যুত করতে প্রচার করে যে, নমশূদ্রের ঘরে ব্রাহ্মণ সন্তান পালিত হচ্ছে। এ যে মহাপাপ, হিন্দু সমাজের জাত ধর্ম শেষ হয়ে গেল। (তথ্যসূত্র: সৌদামিনী মালো- শওকত ওসমান)

ক. ‘বিলাসী’ গল্পের বর্ণনাকারী কে?

খ. “অতিকায় হস্তি লোপ পাইয়াছে, কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে।”- ব্যাখ্যা কর।

গ. সৌদামিনী চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্যটি বিলাসীর চরিত্রের সঙ্গে মিলে যায়? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের মনোরঞ্জন যেন ‘বিলাসী গল্পের খুড়ারই প্রতিচ্ছবি।”- বিষয়টি মূল্যায়ন কর।

উত্তরঃ-

ক) ‘বিলাসী’ গল্পের বর্ণনাকারী ন্যাড়া।

 

খ) ‘বিলাসী’ গল্পের অন্তর্গত আলোচ্য উক্তিটির মধ্য দিয়ে গল্পকার সংকীর্ণমনা ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের প্রতি তীব্র কটাক্ষ করেছেন। • লেখকের মতে, কোনোরকমে টিকে থাকার মধ্যে জীবনের সার্থকতা নেই। গৌরবের সঙ্গে টিকে থাকার মধ্যেই জীবনের সার্থকতা নিহিত। কিন্তু তৎকালীন সমাজ টিকে ছিল ধর্মীয় গোঁড়ামি, কুসংস্কার, অনাচার ও অবিচারের বোঝা মাথায় নিয়ে। এতে কোনো গৌরব নেই। এজন্য লেখক মনে করেন তেলাপোকা হয়ে টিকে থাকার চেয়ে অতিকায় হস্তী হয়ে মরে যাওয়াও গৌরবের।সারকথাঃ- গৌরবের সঙ্গে বেঁচে থাকাই প্রকৃত বাঁচা।

গ) জাত-ধর্মের উর্ধ্বে উঠে কাউকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে সৌদামিনী মালো চরিত্রের সঙ্গে বিলাসী চরিত্রের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। সেবাপরায়ণতা নারী চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাদের কাছে ধর্ম-বর্ণের কোনো বাছবিচার থাকে না। সব ধর্মের, সব ধরনের মানুষকে তারা আপন করে নিতে পারে। নারী চরিত্রের এই মহৎ গুণ মানবজাতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। উদ্দীপকের সৌদামিনী মালো দুর্ভিক্ষের সময় ধানখেতের পাশে কুড়িয়ে পাওয়া এক অসহায় অসুস্থ শিশুকে তুলে এনে সন্তানের মতো লালনপালন করে। মনোরঞ্জন এ শিশুটিকে উঁচু জাতের সন্তান বলে দাবি করে। আর সবার কাছে প্রচার করে সৌদামিনী নিচু জাতের হয়ে ব্রাহ্মণ সন্তান পালন করে পাপ করেছে। ফলে সমাজ তাকে তিরস্কার করে। অন্যদিকে ‘বিলাসী’ গল্পের সাপুড়েকন্যা বিলাসী সেবা-শুশ্রুষা দিয়ে মৃত্যুঞ্জয়কে সুস্থ করে এবং ভালোবেসে বিয়ে করে সমাজ কর্তৃক ধিকৃত হয়। কাজেই বলা যায় যে, সৌদামিনী মালো ও বিলাসী উভয়ের মধ্যেই জাতের বিচার না করে সেবাদান ও ভালোবাসার বৈশিষ্ট্যটির মিল পাওয়া যায়।সারকথাঃ- উদ্দীপকের সৌদামিনী মালো চরিত্রের সঙ্গে ‘বিলাসী’ গল্পের বিলাসী চরিত্রের মিল পাওয়া যায় জাত-পাতের উর্ধ্বে উঠে কাউকে ভালোবাসার দিক দিয়ে।

ঘ)”উদ্দীপকের মনোরঞ্জন যেন ‘বিলাসী’ গল্পের খুড়ারই প্রতিচ্ছবি।”- মন্তব্যটি যথার্থ।সমাজে কিছু স্বার্থান্ধ মানুষ থাকে যারা অন্যের সম্পত্তি কুক্ষিগত করতে চায়। তারা স্বার্থের জন্য যেকোনো কূটকৌশল প্রয়োগ করতে দ্বিধাবোধ করে না। নিজ আত্মীয়স্বজনরাও তাদের কাছ থেকে রেহাই পায় না। কূটকৌশলের নির্মম শিকার হয় তারা।উদ্দীপকের মনোরঞ্জন সৌদামিনীর সম্পত্তি হস্তগত করা এবং তাকে সমাজচ্যুত করার লক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে সমাজে অপপ্রচার চালিয়েছে। সে বলে বেড়ায় যে, নমশূদ্রের ঘরে ব্রাহ্মণ সন্তান পালিত হচ্ছে। এ যে মহাপাপ, হিন্দু সমাজের জাত-ধর্ম সব শেষ হয়ে গেল। অন্যদিকে ‘বিলাসী’ গল্পের জ্ঞাতি খুড়া মৃত্যুঞ্জয় ও বিলাসীর সম্পর্ককে না মেনে নিয়ে এই বলে অপপ্রচার চালিয়েছিলেন যে, মৃত্যুঞ্জয় কায়স্থের ছেলে হয়ে সাপুড়ের মেয়েকে বিয়ে করেছে। এমনকি তার হাতে ভাত পর্যন্ত খেয়েছে। তিনি এটিকে অন্নপাপ বলে তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে চেয়েছেন।উদ্দীপকের মনোরঞ্জন এবং ‘বিলাসী’ গল্পের খুড়া উভয়ের মধ্যেই সম্পত্তি গ্রাস করার সীমাহীন লোেভ দৃশ্যমান। মনোরঞ্জন জ্ঞাতি বৌদির সম্পত্তি দখল করার জন্য জাত-ধর্ম বিসর্জনের কথা বলে তাকে সমাজচ্যুত করার চেষ্টা চালিয়েছে। ‘বিলাসী’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের জ্ঞাতি খুড়াও মৃত্যুঞ্জয়ের সম্পত্তি দখল করার জন্য জাত বিসর্জনের অভিযোগ তুলে তাকে সমাজচ্যুত করার চেষ্টা চালিয়েছে। তাই এ কথা বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।সারকথঃ- উদ্দীপকের মনোরঞ্জন সৌদামিনীর সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে চায়; আর ‘বিলাসী’ গল্পের খুড়া মৃত্যুঞ্জয়ের সম্পত্তি দখল করতে চান। এ কারণে তারা তাদের বিরুদ্ধে সমাজে বদনাম ছড়ায়। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

 

উদ্দীপকের বিষয়ঃ- অসুস্থ মানুষের সেবা-এর আলোকে প্রণীত।

উদ্দীপকঃ-

ক্যাংক্রাম অরিস! মুখের আধখানা পচে গেছে। ডানদিকের গালটা নেই। দাঁতগুলো বীভৎসভাবে বেরিয়ে পড়েছে। দুর্গন্ধে কাছে দাঁড়ানো যায় না। দূর থেকে পিঠে করে বয়ে এনে এ রোগীর চিকিৎসা চলে না। আমার ইনডোরেও জায়গা নেই তখন। অগত্যা হাসপাতান্দ্রে বারান্দাতেই থাকতে বললাম। বারান্দাতেও কিন্তু রাখা গেল না শেষ পর্যন্ত। ভীষণ দুর্গন্ধ। অন্যান্য রোগী আপত্তি করতে লাগল। কম্পাউন্ডার, ড্রেসর, এমনকি মেথর পর্যন্ত কাছে যেতে রাজি হলো না। বৃদ্ধ কিন্তু নির্বিকার। দিবারাত্র সেবা করে চলেছে। (তথ্যসূত্র: তাজমহল- বনফুল)

বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. মৃত্যুঞ্জয় কোথায় শুয়ে ছিল?

খ. মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি খুড়োর বৈরী মনোভাবের কারণ কী?

গ. উদ্দীপকে ‘বিলাসী’ গল্পের কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে?

ঘ. উদ্দীপকের বৃদ্ধ ‘বিলাসী’ গল্পের বিলাসী চরিত্রের সম্পূর্ণ প্রতিচ্ছবি নয়।- তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দেখাও।

উত্তরঃ-

ক) মৃত্যুঞ্জয় তক্তপোষের ওপর পরিষ্কার ধবধবে বিছানায় শুয়ে ছিল।

খ) মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি খুড়ার বৈরী মনোভাবের মূল কারণ মৃত্যুঞ্জয়ের বিশাল আম-কাঠালের বাগানটি নিজের করে নেওয়ার লোভ। মৃত্যুঞ্জয়ের জ্ঞাতি খুড়া সবসময় ভাইপো মৃত্যুঞ্জয়ের অনিষ্ট করার কাজে লেগে থাকতেন। তাকে কীভাবে সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা যায়, নিন্দিত করা যায়, সেই চেষ্টায় তার কোনো ত্রুটি ছিল না। ভাইপোকে গ্রামবাসীর কাছে কোণঠাসা করার জন্য মৃত্যুঞ্জয়ের অন্নপাপের কথা প্রচার করেছেন। মূলত খুড়া মৃত্যুঞ্জয়ের কুড়ি-পঁচিশ বিঘার বাগান নিজের নামে প্রতিষ্ঠার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করতেন।সারকথাঃ- মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি খুড়ার বৈরী মনোভাবের কারণ তার সম্পত্তি নিজের করে নেওয়ার লোভ।

 

গ) উদ্দীপকে ‘বিলাসী’ গল্পের প্রতিবন্ধকতা ঠেলে অসুস্থ মানুষের সেবা করার দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে।দায়িত্বশীলতা মানুষকে মহৎ করে। যে ব্যক্তি দায়িত্বশীল, নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে জানে সে সবার কাছে সমাদৃত। অন্যদিকে যে নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে না বরং এড়িয়ে যায়, তাকে সবাই অপছন্দ করে। দায়িত্বশীল মানুষ মর্যাদায় ভূষিত হয় সর্বস্তরে। তাই প্রত্যেক মানুষের নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন।উদ্দীপকে বৃদ্ধকে দেখা যায় মুমূর্ষু এক রোগীর সেবা করতে। রোগীর অসুখটি অত্যন্ত বীভৎস অবস্থায় গেলেও বৃদ্ধ একদম বিচলিত হয়নি। রোগীর মুখের আধখানা পচে যাওয়ায় চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। অন্যান্য মানুষ কাছে ভিড়তে পারে না। অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও সে নির্বিকারভাবে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেছে। দিন-রাত এক করে সে রোগীর সেবা করেছে তাকে সুস্থ করে তোলার জন্য। ‘বিলাসী’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয় অসুস্থ হলে তাকে সেবা করার কেউ থাকে না। একমাত্র বিলাসী দিন-রাত খেটে সব বাধা উপেক্ষা করে মৃত্যুঞ্জয়ের সেবা করেছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে ‘বিলাসী’ গল্পের প্রতিবন্ধকতা ঠেলে অসুস্থ মানুষের সেবা করার দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে।সারকথাঃ- উদ্দীপকে বৃদ্ধকে দেখা যায় মুমূর্ষু রোগীর সেবা করতে। ‘গল্পে বিলাসীকেও দেখা যায় শয্যাশায়ী মৃত্যুঞ্জয়ের সেবা করতে। ‘বিলাসী’ তারা দুজনেই অনেক প্রতিবন্ধকতার শিকার হলেও হাল ছাড়েনি। এই দিক থেকে উদ্দীপক ও ‘বিলাসী’ গল্পটি সাদৃশ্যপূর্ণ।

 

ঘ) উদ্দীপকের বৃদ্ধ ‘বিলাসী’ গল্পের বিলাসী চরিত্রের সম্পূর্ণ প্রতিচ্ছবি নয়।- মন্তব্যটি যথার্থ।মানুষের জীবনে চলার পথে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সেসব সমস্যা নিয়ে বিচলিত হলে জীবনের গতি থেমে যায়। সমস্যাকে সমস্যা মনে না করে বরং তাকে জয় করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন। অন্যদিকে সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকার মধ্যে কোনো সার্থকতা নেই।উদ্দীপকে এক বৃদ্ধকে দেখা যায়, যে একজন মুমূর্ষু রোগীর সেবা করে গেছে নির্বিকারভাবে। যদিও রোগীর অবস্থা খুবই বীভৎস। ছিল। তার মুখের আধখানা অংশ পচে যাওয়ায় প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়ায় চারপাশে। হাসপাতালের অন্যান্য রোগী এতে আপত্তি জানায়। কিন্তু বৃদ্ধ তাতে মন না দিয়ে বরং রোগীর সেবা করার দিকে মনোযোগ দেয়। ‘বিলাসী’ গল্পে বিলাসী সাপুড়ের মেয়ে। মৃত্যুঞ্জয় পিতৃ-মাতৃহীন এক যুবক। সে গহিন জঙ্গলে তার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে অসুস্থ হয়ে একা পড়ে থাকলে তাকে তার জাতির কেউই সেবা করার জন্য এগিয়ে আসে না। বরং বিলাসী জাতি-ধর্ম সবকিছু ভুলে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসে। এদিকে নিচু জাতির হয়ে মৃত্যুঞ্জয়ের সেবা করার জন্য গ্রামবাসী ও মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়া বিলাসীকে প্রহার করে এবং গ্রাম থেকে বের করে দেন। এমন সংকটের সময়ও বিলাসী কেবল মৃত্যুঞ্জয়ের সেবা করার কথা চিন্তা করেছে। তাকে সেবা করে সুস্থ করেছে। এমনকি সাপের কামড়ে অকস্মাৎ মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর পরে বিলাসীও আত্মহত্যা করে। এর মধ্য দিয়ে বিলাসীর মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি গভীর ভালোবাসাবোধ প্রকাশ পেয়েছে। থাকলেও অন্যান্য সব পরিস্থিতি বিবেচনায় বলা যায়, উদ্দীপকের বৃদ্ধ ‘বিলাসী’ গল্পের বিলাসী চরিত্রের সম্পূর্ণ প্রতিচ্ছবি নয়।উদ্দীপকে বৃদ্ধের মাঝে সেবা করার বিষয়টি দেখা গেছে। নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়েও সে অসুস্থ রোগীর সেবা করেছে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। ‘বিলাসী’ গল্পে বিলাসী শুধু নিষ্ঠার সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয়ের সেবাই করেনি, বরং যখন জাতি-ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তখনও বিলাসী অটল থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের সেবা করেছে। তারা বিবাহ-পরবর্তী সাপুড়ে পেশায় দুজনে মনোনিবেশ করলেও বিলাসী চেয়েছে মৃত্যুঞ্জয় এগুলো থেকে দূরে থাকুক। এমনকি শেষ পর্যায়ে বিলাসীর আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। কিন্তু উদ্দীপকের বৃদ্ধের মাঝে এসব বিষয়ের প্রতিফলন ঘটেনি। তাই সেবা করার দিক থেকে উদ্দীপকের বৃদ্ধ এবং গল্পের বিলাসীর মিল।সারকথাঃ- উদ্দীপকের বৃদ্ধের মাঝে কেবল সেবা করার বিষয়টিই লক্ষণীয়।বিলাসীর মতো আত্মত্যাগ, সংঘাত ও প্রতিকূলতার সম্মুখীন সে হয়নি।তাই উদ্দীপকের বৃদ্ধ ও বিলাসী এক নয়।

আহ্বান গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন