অ্যাডসেন্সে লো ভ্যালু কনটেন্ট সমস্যা কিভাবে সমাধান করবো
অ্যাডসেন্সে লো ভ্যালু কনটেন্ট সমস্যা কিভাবে সমাধান করবো এটা নিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ সার্চ করে। আজকে এই বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেল লেখা হয়েছে। যারা লো ভেলু কন্টেন্ট সমস্যার জন্য অ্যাডসেন্স পাচ্ছেন না তারা আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করি সমাধান করতে পারবেন।
Table of Contents
Toggleলো ভ্যালু কন্টেন্ট কি? লো ভ্যালু কনটেন্ট সমাধানের উপায়
গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য যদি ইতপূর্বে আবেদন করে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই লো ভ্যালু কনটেন্ট টার্ম আপনার কাছে পরিচিত। সাধারণত আমরা নতুন কোন সাইট অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করে থাকি, এবং শতকরা ৮০ ভাগ সাইটে প্রথম আবেদনের রিপ্লাইয়ে অ্যাডসেন্স লো ভ্যালু কন্টেন্ট সমস্যা দেখিয়ে আবেদন রিজেক্ট করে দেয়।
কিন্তু, আপনি যদি লো ভ্যালু কন্টেন্ট কি, এবং অ্যাডসেন্স লো ভ্যালু কন্টেন্ট সমাধানের উপায় জেনে থাকেন, তাহলে প্রথম আবেদনেই অ্যাডসেন্স অনুমোদন পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যাবে।
লো ভ্যালু কন্টেন্ট কি?
লো ভ্যালু কন্টেন্ট মানে আপনার কন্টেন্ট Google এবং এর ভিজিটরদের চোখে মূল্যবান নয়। শত শত আর্টিকেল আছে, কিংবা যেসব আর্টিকেল আছে সেগুলোর মান আপনার চেয়ে যথেষ্ট ভাল হলে আপনার কন্টেন্টকে গুগল লো ভ্যালু কন্টেন্ট হিসেবে ধরে নিবে।
Google সর্বদা তার ব্যবহারকারীদের মানসম্পন্ন আর্টিকেল সরবরাহ করতে চায়, তাই আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ভিজিটরদের দেখাতে বা গুগলে র্যাংক করতে অবশ্যই গুণগত হতে হবে।
অ্যাডসেন্স লো ভ্যালু কনটেন্ট সমাধানের উপায়
অ্যাডসেন্সে লো ভেলু কন্টেন্ট সমস্যা কিভাবে সমাধান করবো সেই বিষয়ে নিচে কয়েকটি প্রধান বিষয় উল্লেখ করা হলো:
১. ইউনিক আর্টিকেল:
গুগল সবসময় ভ্যালু এড চায়। যে যত বেশি ভ্যালু এড করতে পারবে, তার গুরুত্ব ততো বেশি। তেলের মাথায় তেল দেওয়া গুগল পছন্দ করে না।
অর্থাৎ, যেসব বিষয়ে হাজার হাজার কনটেন্ট আছে এমন আর্টিকেল লিখলে গুগল কোনো ভ্যালু খুঁজে পায় না। তাহলে উপায়?
অনলাইন থেকে টাকা আয় করার সহজ উপায় জেনে নিন
হ্যা, যদি আপনি বেটার কোয়ালিটি তেল দিতে পারেন, তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা আলাদা!
অর্থাৎ আপনি যদি পূর্বে প্রকাশিত অন্যান্য সাইটের আর্টিকেলের চেয়ে আরো ভালো আর্টিকেল প্রকাশ করেন, তাহলে গুগল এবং ভিজিটরস, উভয়ই ভ্যালু দিতে বাধ্য হবে।
2. শর্ট আর্টিকেল নয়
থিন কন্টেন্ট বা ছোট আর্টিকেল গুগল পছন্দ করে না। নতুন অবস্থায় বেশির ভাগ ব্লগার আর্টিকেল লেন্থ বাড়াতে পারেন না। খুব ছোট আকারে ব্লগ লিখে প্রকাশ করে থাকেন। আপনিও যদি এমন শর্ট আর্টিকেল লিখে থাকেন, তাহলে গুগল আপনার কন্টেন্টকেও গুরুত্ব দিবেনা এটাই স্বাভাবিক।
সুতরাং, অ্যাডসেন্স পাওয়ার আগে ৭০০ বা তার অধিক শব্দের আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন এবং সর্বদা ৩৫০ শব্দের অধিক আর্টিকেল প্রকাশ করার চেষ্টা করবেন।
3. মিনিমাম কন্টেন্ট
গুগল অ্যাডসেন্স এর ইন আর্টিকেল অ্যাড থেকেই সবচেয়ে বেশি ইনকাম হয়। এখন আপনার যদি আর্টিকেলই কম থাকে, তাহলে অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনটা কোথায় বসাবে?
এজন্য, গুগলের পলিসি মেনে লো ভ্যালু কন্টেন্ট সমস্যা এড়িয়ে এডসেন্স পেতে আবেদনের পূর্বেই বেশ কিছু কন্টেন্ট প্রকাশ করতে হবে, যা আপনার সাইট সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।
বাংলা ব্লগের ক্ষেত্রে নূন্যতম সর্বমোট ৩০ হাজার শব্দ ও ২৫টা আর্টিকেল লিখে ফেলুন। ইংরেজির ক্ষেত্রে ২০০০০ শব্দ এবং ন্যূনতম ১৫ টা আর্টিকেল প্রকাশ করে অ্যাডসেন্স আবেদন করুন।
4. ভাল সার্চ ভলিয়্যুম কন্টেন্ট
তাই অ্যাডসেন্স লো ভ্যালু কনটেন্ট সমাধানের উপায় হিসেবে সার্চ ভ্যালু আছে এমন কন্টেন্ট লিখুন। অর্থাৎ, যেসব কন্টেন্ট গুগলে প্রায়ই সার্চ করা হয় অথচ প্রতিযোগিতাও কম।
সার্চ ভ্যালু নেই এমন কন্টেন্ট নিয়ে র্যাংক করলেও আপনি ভিজিটর পাবেন না। তাই, কন্টেন্ট লেখার আগে কিওয়ার্ড রিসার্চে মনোযোগ দিন।
সেরা ১০টি ফ্রিল্যান্সিং সাইট
5. ট্রাফিক
আপনার ব্লগে প্রকাশিত কন্টেন্ট কোয়ালিটি যদি ভালো না হয় তাহলে ভিজিটর আনতে পারবেন না। আর গুগল থেকে তথা ইউনিক ভিজিটর না আসলে গুগল এড দেখাবে কাকে?
ট্রাফিক না থাকলে অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল পেলেও ইনকাম হবে না। অন্যদিকে, এমন ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল দিয়ে গুগলেরও তেমন লাভ হবে না। তাই, গুগলের কাছে ট্রাফিক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ব্লগিং এ একটা কথা প্রচলিত আছে, কন্টেন্ট ইজ দ্যা কিং। ট্রাফিক পেতে এসইও অপ্টিমাইজড আর্টিকেল প্রকাশনা নিশ্চিত করুন। নিজে এসইও করতে না পারলে লেখক হায়ার করুন, সেক্ষেত্রে প্রতিবর্তন আর্টিকেল শপ আপনার জন্য সেরা অপশন হতে পারে।
অ্যাডসেন্স লো ভ্যালু কন্টেন্ট সমাধানের উপায় হলো হাই কোয়ালিটি আর্টিকেল প্রকাশ করা, যা গুগল এবং ভিজিটরস পছন্দ করবে। গুগলে এমন হাই কোয়ালিটি পর্যাপ্ত আর্টিকেল ইন্ডেক্স করালে আপনার সাইটকে নিশ্চিতভাবেই গুগল গুরুত্ব দিবে।
আপনারা চাইলে নীল প্যাটেল এর ওয়েবসাইট ভিজিট করে এ সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।